________________
পূর্বাশ্রম
কন্ঠে সরস্বতী, তোমাকে কিছু শিক্ষা দেই, তেমন আমার বিস্তা নেই। বরং তুমিই আমায় শিক্ষা দিতে পার ।
ইন্দ্র ব্রাহ্মণের রূপ ধরে এসেছিলেন 'ও কিছু শিখল না' সকলের এই মূঢ়তা ভাঙবার জন্য । যে তিনটি জ্ঞানের অধিকারী, মতি, শ্রুত অধিজ্ঞান, তাকে কিনা সাধারণ পড়ুয়ার মত লেখশালে প্রেরণ
করা ?
১১
মতিজ্ঞান ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জ্ঞান, যেমন করে আমরা সকলে জানি। এতজ্ঞান গুরুমুখে বা শাস্ত্রপাঠে যে জ্ঞান উৎপন্ন হয়। অবধিজ্ঞান একটা সীমার মধ্যে বস্তুসত্তার জ্ঞান। তীর্থংকর এই তিনটি জ্ঞান অধিগত করেই জন্মগ্রহণ করেন ।
বর্ধমান ইন্দ্রের প্রশ্নের জবাবে মুখে মুখে সে জবাব দিয়েছিল তার নাম হল ঐন্দ্র ব্যাকরণ ।
বর্ধমান তাই যেদিন লেখশালে গেল, সেই দিনই আবার ঘরে ফিরে এল । সমস্ত শুনে সিদ্ধার্থ ত্রিশলাকে বললেন, কেমন আমি
বলিনি ?
ত্রিপল। মুখে বললেন বটে আমার হার হয়েছে কিন্তু মনে কাঁটার মত বিঁধে রইল বর্ধমান কিছুই শিখল না ।
আবার সেই অবাধ জীবন, নির্বাধ মুক্তি। বনের ছায়ায় সরোবরের ভীরে অলস সময়ক্ষেপ । অন্যান্য রাজকুমারদের মত তার বিলাসবাধনে মন নেই, না মৃগয়ায় । তার ভেতরে ভেতরে চলেছে যেন কিসের এক অনুধ্যান, কি এক সর্বগ্রাসী ভাবনা। ত্রিশলা কতদিন ভাকে আবিষ্কার করেছেন ধ্যানে—শিথিল যখন তার দেহবন্ধ । আর অনিশ্চিত আশঙ্কার ভেতরে ভেতরে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। রাজচক্রবর্তীত্বের লক্ষণ নয়। শৌর্য আছে অথচ শৌর্যের প্রকাশ নেই। সর্বগুণান্বিত অচ গুণহীন ।
এড
এমনি করে আট বছর আরও কেটে গেল।