________________
বর্ধমান মহাবীর
সেকথা শুনে মনে মনে তাঁকে সাধুবাদ দিয়ে ইন্দ্র অন্তর্হিত হলেন। পুরে আকাশ তখন বেশ ফরসা হয়ে এসেছে। বর্ধমান তাই প্রতিক্রমণ করে পথে উঠে এলেন ।
কমরীগ্রামের মধ্য দিয়ে চলেছেন বর্ধমান। লোকেদের তখন সবে ঘুম ভেঙেছে। কেউবা দোরের আগল খুলছে, কেউবা দোকানের ঝাঁপ। ওরই মধ্যে এক ঝলক তারা দেখে নেয় বর্ধমানকে, তরুণকান্তি কুমার-প্রব্রজিতকে।
খাট হতে জল নিয়ে যাবার পথে মেয়েরাও থমকে দাঁড়ায়। ছুটে যায় তাদের চোখের দৃষ্টি মধুলোভী ভ্রমরের মত অমন স্বর্ণকান্তি দেহ আর পদ্মপলাশ চোখ মেয়েরা কি না দেখে পারে ? কিন্তু শুধু রূপ নয় । বর্ধমানের গায়ে কাল যে লেপন করা হয়েছিল হরিচন্দনকি তার সৌরভ। লোভীর মত ভ্রমরগুলোও তাই ছুটে চলেছে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে।
কিন্তু বর্ধমানের কোনো দিকেই চোখ নেই। ছুটে চলেছেন তিনি যেন জ্যাভ্রষ্ট তীর। মাটির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তিনি এগিয়ে চলেছেন কমরীগ্রাম অতিক্রম করে মোৱাক সন্নিবেশের দিকে ।
দিনের প্রথম যাম তখন উত্তীর্ণ হয়েছে। মোরাকের পথে বর্ধমান এসেছেন কোল্লাগে ।
ব্রাহ্মণ বহুল বসেছিলেন ঘরের দাওয়ায়। হঠাৎ তাঁর চোখ গিয়ে পড়ল বর্ধমানের ওপর। দেখলেন দেহের সেকী দিব্য বিভা— হিরণ্ময়ী যেন তপতী, দীপের যেন শিখা ।
বহুল অনিমেষ নয়নে চেয়ে চেয়ে দেখলেন আর ভাবলেন । কি ভাবলেন কে জানে ? কিন্তু কী তাঁর সৌভাগ্য যে বর্ধমান তাঁর ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালেন। তারপর ভিক্ষার ভঙ্গীতে তাঁর হাত দুটো প্রসারিত করে দিলেন । যেন চাইলেন আহার ভিক্ষা।
বহুল তাড়াতাড়ি ঘরের ভিতর ছুটে গেলেন। তারপর পারের