________________
এ্যা
গােশালক ভাবলেন, এও মন্দের ভালো। তিনি যে ভিক্ষা পেলেন না এতে বর্ধমানের কথা মিথ্যা হবে, নিয়তিবাদও। তাই ভিক্ষা না নিয়েই তিনি তন্তৰায়শালায় ফিরবেন স্থির করলেন।
তাই ফিরছিলেন। কিন্তু মাঝপথ হতে তাঁকে ধরে নিয়ে গেল এক কুমাের। তারপর শ্রদ্ধাভরে ভিক্ষা দিল ৰালি কদ্রব চালের ভাত, টক ঘােল ও অচল মুদ্রা।
মুদ্রা অবশ্য সে অচল ভেবে দেয় নি কিন্তু কার্যতঃ তা অচল বলেই প্রমাণিত হল।
গােশালকের এতে যেমন বর্ধমানের ওপর বিশ্বাস আরও দৃঢ় হল তেমনি নিয়তিবাদের ওপরও। নিয়তিতে যা লেখা রয়েছে তা না হয়েই যায় না। ভাগ্য আগে হতেই নিরূপিত হয়ে আছে।
বর্ধমান এই চাতুর্মাদ্যের প্রথম মাসের উপবাসের পায়ণ করেছিলেন বিজয় শ্ৰেষ্ঠীর ঘরে, দ্বিতীয় মাসের আনন্দ শ্রাবকের ঘরে, তৃতীয় মাসের সুনলের ঘরে ও চতুর্থ মাসের নালন্দা হতে পরিব্রাজন করে কোল্লাগে ব্রাহ্মণ বহুলের ঘরে।
নালন্দা হতে বর্ধমান যখন পরিব্রাজন করে গেলেন গােশালক তখন তন্তুবায়শালায় ছিলেন না। ভিক্ষাচর্যায় গিয়েছিলেন। ভিক্ষাচর্না হতে ফিরে এসে তিনি দেখলেন যে বর্ধমান সেখানে নেই, তখন ভাবলেন হয়ত তিনি ভিক্ষাচর্যায় গেছেন। কিন্তু ভিক্ষাচর্যা হতে ফিরে আসার সম্ভাব্য সময়ও যখন উত্তীর্ণ হয়ে গেল তখন তিনি তার সন্ধানে নগরে গেলেন। কিন্তু সেখানেও তাঁর কোনাে সন্ধান পেলেন না। তখন হতাশ হয়ে আবার ভয়শালায় ফিরে এলেন।
কিন্তু সেই অন্তৰায়শালায় তিনি আর অবস্থান করলেন না। নিজের সমস্ত সঞ্চয় দান করে মুণ্ডিতমশুক ও নগ্ন হয়ে বর্ধমানের সন্ধানে বেরিয়ে পড়লেন।