________________
১১ ভীর্থংকর জীবনের প্রথম চাতুর্মাস্য বর্ধমান রাজগৃহেই ব্যতীত করলেন। তারপর বর্ষাকাল অতীত হতে বিদেহের পথে এলেন ব্রাহ্মণ-কুণ্ডপুর।
এই ব্রাহ্মণ-কুশুপুরেই বাস করেন ব্রাহ্মণ ঋষভদত্ত ও ব্রাহ্মণী দেবানন্দা। এই দেবানন্দার কুক্ষীতেই তিনি প্রথম অবতরণ করেছিলেন।
বর্ধমানের আসবার সংবাদ পেয়ে তাঁকে বন্দনা করতে এলেন ব্রাহ্মণ ঋষভদত্ত ও ব্রাহ্মণী দেবানন্দা। ক্ষত্রিয়-কুণ্ডপুর হতে এল তাঁর জামাতা জমালি ও কন্যা প্রিয়দর্শনা। ভগবানের উপদেশ সভায় তাঁরাও শুনলেন নিগ্রস্থ ধর্মের প্রবচন। হৃদয়ে তাদের শ্রদ্ধার উদ্রেক হল। তারা সেই সভাতেই নিগ্রস্থ ধর্ম গ্রহণ করে শ্রমণ হয়ে গেলেন।
| বর্ধমান একবছর বিচরণ করলেন বিদেহভূমিতে, বর্ষাবাস করলেন বৈশালীতে। তারপর বর্ষাকাল শেষ হতে গেলেন ৰৎস ভূমির দিকে নিগ্রন্থ ধর্ম তাকে প্রচার করতে হবে। তাই নিশ্চিন্ত হয়ে কোথাও একস্থানে অবস্থান করবার তাঁর উপায় নেই।
বংসের রাজধানী তখন কৌশাম্বী। বর্ধমান কৌশাখীর বহিঃস্থিত চৰতরণ চৈত্যে এসে অবস্থান করলেন।
| কৌশাখীতে তখন রাজত্ব করেন উদয়ন। এই সেই উদয়ন স্বার সম্বন্ধে কালিদাস বলেছিলেন : উদয়ন-কোৰিদ গ্রামবৃদ্ধান'। উদয়ন কথা নিয়ে সংস্কৃত সাহিত্যে চায় চারটি বিখ্যাত নাটক রচিত হয়েছে: ভাসের ‘স্বপ্ন-ৰাসৰদম ও প্রতিজ্ঞা-যৌগন্ধরায়ণম৩ হর্ষের ‘প্রিয়দশিকা’ ও ‘য়ালী'।