________________
বর্ধমান মহাবীর
আর্যগণ, আমাদের মতে দীয়মান অদত্ত, প্রতিগৃহ্যমান অপ্রতিগৃহীত, নিসৃজ্যমান অনিসৃষ্ট। এইজন্য দাতার হাত হতে স্খলিত হয়ে যতক্ষণ না তা তোমার পাত্রে এসে পড়ে তার আগে তাকে যদি কেউ সরিয়ে নেয়, তবে তা তোমাদের যায় না, দাতার যায় । এর তাৎপর্য হল যে পদার্থ তোমাদের পাত্রে এসে পড়ে তা অদত্ত । কারণ যে পদার্থ দানকালে তোমাদের নয়, পরেও তা তোমাদের হতে পারে না । এরূপে তোমরা যা তোমাদের দেওয়া হয়নি তা গ্রহণ করছ, খাচ্ছ ও আস্বাদন করছ। এখানে তোমরা অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত।
আর্যগণ, আমরা যা দেওয়া হয়নি তা গ্রহণ করি না, খাই না বা আস্বাদন করি না। যা দেওয়া হয়েছে তাই গ্রহণ করি, খাই ও আস্বাদন করি । এভাবে ত্ৰিৰিধ ত্ৰিবিধ প্রকারে আমরা সংযত, বিরত ও পণ্ডিত।
আর্যগণ, কি ভাবে তোমরা যা তোমাদের দেওয়া হয় তাই গ্রহণ কর, খাও, আস্বাদন কর আমাদের বোঝাও।
আর্যগণ, আমাদের মতে দীয়মান দত্ত, প্রতিগৃহ্যমান প্রতিগৃহীত ও নিসৃজ্যমান নিসৃষ্ট । গৃহপতির হাত হতে স্খলিত হবার পর যদি তা মাঝখান হতে কেউ উড়িয়ে নেয় তবে তা আমাদেরই যায়, গৃহপতির নয় । এজন্য কোন হেতু যুক্তিতে আমরা অদত্তগ্রাহী সিদ্ধ হই না । বরং আর্যগণ, তোমরাই ত্রিবিধ ত্রিবিধ ভাবে অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত ।
১৮৮
কেন ? আমরা কিভাবে অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত ? এইজন্য কি তোমরা অদত্ত দান গ্রহণ কর ।
আমরা কিভাবে অদত্ত দান গ্রহণ করি ?
আধগণ, তোমরা এভাবে অদত্ত দান গ্রহণ কর। তোমাদের মতে দীয়মান অদত্ত, প্রতিগৃহমান অপ্রতিগৃহীত ও নিসৃজ্যমান অনিসৃষ্ট । এভাবে তোমরা ত্ৰিবিধ ত্রিবিধ ভাবে অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত।
না, আর্যগণ, তোমরাই ত্রিবিধ ত্রিবিধ ভাবে অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত ।