________________
বর্ধমান মহাবীর
সাকেতের এক বণিক জিনদেৰ সেই সময় কোটিৰৰে ৰাণিজ্য করতে গিয়েছিলেন। কোটিবর্ষ দিনাজপুরের নিকটস্থ ৰাণগড় । সেকালে কোটিৰৰ্য অনার্য দেশ বলে পরিগণিত হত। সেখানে কিরাতরাজ রাজত্ব করতেন।
১৮৬
জিনদেব কিরাতরাজকে বাণিজ্যার্থ বস্ত্র, মণি, ফত্নাদি উপহার দিলেন যে ধরনের রত্নাদি তাঁর কোষে ছিল না ।
কিরাতরাজ সেই রত্নাদি পেয়ে আনন্দিত হলেন ও বললেন, কি সুন্দর এই রত্ন! এ রত্ন কোথায় উৎপন্ন হয় ?
জিনদেব বললেন, এর চাইতেও ভালো মহার্ঘ যত্ন আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় ।
কিরাতরাজ বললেন, ইচ্ছে ত করে তোমার দেশে যাই কিন্তু সারোজের কি অনুমতি পাওয়া যাবে ?
কেন নয় ? আমি সেই অনুমতিপত্র আনিয়ে নেৰ ।
জিনদেৰ সাকেতরাজকে পত্র দিয়ে কিরাতরাজের সাকেতে যাৰায় অনুমতিপত্র আনিয়ে নিলেন। তারপর তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সাকেতে এসে উপস্থিত হলেন ।
বর্ধমান তখন সাকেতে অবস্থান করছিলেন। দলে দলে সংকেতের অধিবাসীরা বর্ধমানের ধর্মসভায় যায়। তাই দেখে একদিন কিরাতরাজ জিনদেবকে জিজ্ঞেস করলেন, ভদ্র, এরা সব কোথায় চলেছে ?
জিনদেব তার প্রত্যুত্তর দিলেন, রাজন, এখানে আজ এক রত্ন ৰ্যবসায়ী এসেছেন যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রত্নের অধিকারী।
কিরা তরাজ সেকথা শুনে বললেন, মিত্র, তা হলে ত খুব ভালোই হল ! চল আমরা গিয়ে সেই শ্রেষ্ঠ রত্ন দেখে আসি ।
কিরাতরাজ জিনদেবের সঙ্গে বর্ধমানের ধর্মসভায় এলেন। বর্ধমান সেদিন রত্ন সম্বন্ধেই প্রবচন দিচ্ছিলেন। বলছিলেন — সংসারে খুত্ন দুই রকমের : এক জবরত্ন, অন্য ভাৰত্ন। হীরে, মণি, মাণিক্য যাদের বলি ভারা অব্যয়ত্ব। ভাৰত্ন তিনটি : সম্যক দর্শন, সম্যক জ্ঞান ও সম্যক্ চারিত্র। তত্ত্বে শ্রদ্ধা, তত্ত্বের জ্ঞান ও তদনুযায়ী