________________
তীর্থংকর
১৮৭
জীবন যাপন। এব্য রত্ন যতই মহা হােক না কেন তার এভাৰ সীমিত। পরলােকে মানুষ তা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু ভারতের প্রভাব অসীম, শুধু ইহজীবনেই নয়, পরজন্মেও ত। ফলদায়ী হয়।
তাবরত্নের কথা কিতাজের মনে ধরল। তিনি বর্ধমানের সামনে দাড়িয়ে করজোড়ে বললেন, ভগব, আমায় ভাবৰত্ন দিন।
বর্ধমান বললেন, তােমার যেমন অভিরুচি।
কিরাতরাল তার ধন, রত্ন, রাজ্য ও ঐশ্বর্য পরিত্যাগ করে বর্ধমানের শ্রমণ সম্বে প্রবেশ করলেন।
বর্ধমান সাকেত হতে পাঞ্চালের দিকে গমন করলেন। কাশিল্যে কিছুকাল অবস্থান করে সুসেনের দিকে গেলেন ও মথুরা, শৌর্ষপুর, নন্দীপুর আদি নগরে ভ্রমণ করে পুনরায় বিদেহ ভূমিতে ফিরে এলেন ও সেই বর্ষাবাস মিথিলায় ব্যতীত করলেন।
। ২৫। চাতুর্মাস্য শেষ হলে বর্ধমান আর মগধে ফিরে এলেন ও গ্রামাগ্রাম বিচরণ করতে করতে রাজগৃহের গুণশীল চৈত্যে এসে অবস্থান করলেন।
গুণশীল চৈত্যে অন্যতীর্থিক শ্রমণেও থাকেন। তারা একদিন বর্ধমানের অনুযায়ী শ্ৰমণদের এসে বললেন, আর্যগণ, তােমরা তিন তিন ভাবে অসংষত, অৰিত ও অপণ্ডিত।
সেকথা শুনে বর্ধমান শিষ্যরা বললেন, আর্যগণ, কি কারণে আমরা অসংষত, অবিরত ও অপণ্ডিত ?
অতীর্থিকেরা বললেন, তােমাদের দেওয়া হয়নি তাই গ্রহণ কর, খাও, আস্বাদন কর। এইজন্য তােমরা অসংৰভ, অৰিত ও অপণ্ডিত।
আর্যগণ, আমরা কিভাবে যা দেওয়া হয়নি তা গ্রহণ করি, খাই, আবাদন করি।