Book Title: Vardhaman Mahavira
Author(s): Ganesh Lalwani
Publisher: Ganesh Lalwani

View full book text
Previous | Next

Page 202
________________ বর্ধমান মহাবীর এই সেই পাৰা যে পাৰায় তাঁর তীর্থংকর জীবনের প্রারম্ভ । পাৰায় মহাসেন উদ্যানেই না তিনি তাঁর গণধরদের প্রথম দীক্ষিত করেছিলেন। এই পাৰা হতে তিনি যে ধর্মতীর্থের প্রবর্তন করেছিলেন তা আজ সমতট হতে সিন্ধু সৌৰীর পর্যন্ত বিস্তৃত । পাবার মহাসেন উদ্যানেই তাই আবার তাঁর অন্তিম বছরের সমবসরণ হল । এই সমসরণে আরও অনেকের সঙ্গে পাবার রাজা পুণ্যপালও উপস্থিত ছিলেন । পুণ্যপাল সেদিন রাত্রে স্বপ্নে হস্তী, মর্কট, ক্ষীরবৃক্ষ, কাকপক্ষী, সিংহ, কমল, বীজ ও কলস দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন দেখা অবধি অমঙ্গল আশঙ্কায় পুণ্যপালের মন অস্থির ছিল। তাই বর্ধমানের প্রবচন শেষ হতেই তিনি তাঁর স্বপ্নের কথ। বর্ধমানের কাছে নিবেদন করলেন। বললেন, ভগবন্ , আমি এই স্বপ্ন দর্শনের ফল জানতে ইচ্ছা করি । ১১৪ বর্ধমান সেই স্বপ্ন বৃত্তান্ত শুনে বললেন, পুণ্যপাল, তোমার স্বপ্ন ত স্বপ্ন নয়, আগামিক যুগের ছায়া। সামনে যে বিষম সময় আসছে তারই পূর্বাভাস। তুমি যে হস্তী দেখেছ তার তাৎপর্য এই আগামিক যুগের আমার গৃহী শিষ্য বা শ্রাবকেরা পাখিৰ ঐশ্বর্যে লুব্ধ হয়ে হস্তীর মত গৃহেই অবস্থান করবে, শ্রামণ্য অঙ্গীকার করবে না, যদিও বা করে তবে অসৎ-সংসর্গে তা পরিত্যাগ করবে। মর্কটেরা যেমন চপলমতি হয় তেমনি আমার শ্রমণ সঙ্ঘের গণ, গচ্ছ বা শাখাধিপতিরা চপলমতি, অল্পজ্ঞানী ও ব্রতপালনে প্ৰমাদী হবে। ধর্মে শিখিলাচার হয়ে তারা অন্যকে ধর্মের উপদেশ দেবে ও ধর্মের কদর্থ করৰে । গৃহী শিষ্য বা শ্রাবকেরা দান ও শাসন সেবার জন্য ক্ষীরবৃক্ষ স্বরূপ হবে। এরূপ ধনী গৃহী শিষ্যদের অহঙ্কারী বেশমাত্রধারী আচার্যেরা কণ্টকবৃক্ষের মত চারিদিক হতে ঘিরে রইবে ও পরম্পর পরস্পরকে অভিবর্ধিত করবে কিন্তু জিন শাসনের প্রসার করবে না । কাকপক্ষী যেমন স্বচ্ছ জল বাপী হতে জল পান করে না তেমনি উদ্ধত স্বভাৰ শ্ৰমণেরা স্বীয় আচার্যদের নিকট হতে শিক্ষা গ্রহণ

Loading...

Page Navigation
1 ... 200 201 202 203 204 205 206 207