________________
সনিকায় ইন্দ্র তখন মর্ত্যলােকে নেমে এলেন। বর্ধমানের নিকটে গিয়ে দাড়ালেন তঁাকে সানেত্রে বন্দনা করে বললেন, ভগ, আপনার নির্বাণ সময় সমাগত জেনে আপনাকে বন্দনা করতে এসেছি । সেই সঙ্গে একটি নিবেদন জানাতে। আসবার সময় আপনার
নক্ষত্র উত্তরা ফাত্তনীতে ভস্মক গ্রহ সঞ্চারিত হতে দেখলাম। আপনার দেহাবসানের পর সেই গ্রহ যদি উত্তয়া ফাণীতে সঞ্চারিত হয় তবে তা জিন শাসনের পক্ষে কল্যাণকর হবে না। তাই ততক্ষণ দেহরক্ষা হতে বিরত থাকুন যতক্ষণ না তা স্বাতী নক্ষত্র অতিক্রম করে উত্তরা ফানীতে প্রবেশ করে।
বর্ধমানের প্রবচন ততক্ষণে শেষ হয়েছে। উষার আলােয় স্বর্ণিম লেখা পুৰ আকাশকে তখন অতিৰিঞ্চিত করছে। | বর্ধমান বললেন, দেবরাজ, তুমি ত একথা ভালাে ভাবেই জান আয়ু বর্ধিত করবার মত তীর্থংকয়ে নেই। তবু তােমায় যে এই আগ্রহ সে জিন শাসনে তােমার অনুরাগের জন্য। কিন্তু বীতরাগীর সেরূপ কোনাে আগ্রহ থাকে না। তাছাড়া কালচক্রের পরিবর্তনে জিন শাসনের এমনিতেই অবনতি হবে। ভস্মক এহ যদি তার নিমিত্ত কারণ হয় ত তীর্থংকর তার পরিবর্তন করবেন না।
ভগ, তবে তাই হােক।
বর্ধমান তখন তাঁর সমস্ত চেতনা গুটিয়ে নিলেন, কেন্দ্রিত করলেন। তারপর ধ্যানের গভীরতায় ডুবে যেতে লাগলেন। শেষে শৈলেশীকরণে আঘতি কর্মক্ষয় করে লােকের উপস্থিত সিদ্ধলােকে গমন
কল্পসূত্র সেই মহা নির্বাণের ক লিখতে গিয়ে লিখলেন-সেই চাতুর্মাস্যর চতুর্থ মাসে সপ্তম পক্ষে কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের পদশ তিথিতে যে রাত্রি তার চামরাত্রি সেই রাত্রিতে এমন তগৰান ৰমান কালগত হলেন, সংসার হতে ব্যতিক্রান্ত হলেন, অপুনৰপে উ গমন করলেন, জয়, জয়া, মরণ ৰন ছি, করোসি, বুদ্ধ, মুত অফৎ, পৰিনিৰ্বত,
স হীন হলেন।