________________
১১৬
বর্ধমান মহাবীর উঠে রাজা হীপালের যে প্রাচীন ভােলা ছিল সেই শুকশালায় গমন করলেন। বর্ষায় চারমাস তিনি সেইখানেই ব্যতীত করবেন ।
শ্রাবণ, ভা, আখিন মাস ব্যতীত হল। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষও ব্যতীত হতে চলল। আজ তার শেষ দিন। তাঁর জীবনেরও। আজ তিনি মুক্ত হবেন।
সহসা তার গৌতমের কথা মনে হল। তার প্রিয় শিষ্য গৌতম যে আজও কেবল-জ্ঞান লাভ করতে পারে নি। কেন পারে নি ? পারে নি সে তাঁর প্রতি তার অনুরাগের জন্য। তাঁর অন্য প্রধান শিষ্যরা যখন কেবল-জ্ঞান লাভ করেছে, গৌতম ও সুধর্ম ছাড়া যখন সকলেই মুক্ত হয়ে গেছে তখন-না এমন একটা কিছু করতে হবে যাতে তাঁর প্রতি গৌতমের অনুরাগ বিনষ্ট হয়ে যায়। বর্ধমান তখন গৌতমকে ডেকে পাঠালেন। গৌতম নিকটে এসে দাঁড়াতেই বললেন, গৌতম, পাবার পার্শ্ববর্তী গ্রামে দেবশর্মা নামে এক ব্রাহ্মণ ৰাস করে। সে তােমার দ্বারাই কেবল প্রতিবুদ্ধ হবে, অন্যের দ্বারা নয়। তুমি যাও, গিয়ে তাকে প্রতিবােধ দিয়ে এস।
গুরুর আদেশ শিরােধার্য করে গৌতম পার্শ্ববর্তী গ্রামেচলে গেলেন।
গৌতম চলে যেতে তিনি তাঁর অন্য শ্রমণ ও গৃহী শিষ্যদের ডাক দিলেন। বললেন, আজ আমি তােমাদের অন্তিম উপদেশ দেৰ। তারপত্ৰ ভঁয় অভিম এৰচন আরম্ভ হল—অখণ্ড, ধারাবাহী।
তারপর মধ্যদিন কখন সন্ধ্যায়, সন্ধ্যা কখন মধ্যরাত্রে পরিবর্তিত হল কেউ জানত না। একে একে রাত্রির প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বাম উত্তীর্ণ হতে চলল। কিন্তু বর্ধমান অক্লান্ত, শ্রোতারা চিত্রাপিত, স্থির। কি এৰু তাৰাৰেশ তাদের যেন পেয়ে বসেছে। সময়ের বােধ তারা হায়িয়ে ফেলেছে।
সৌম দেলােকে সহসা ইন্দ্রের আসন কম্পিত হল। তিনি তখন চোখ মেলে ধীপে তাৱতৰৰে মগৰান্তৰ্গ পাবার দিকে চেয়ে দেখলেন এখলেন জর্থংকারের নির্বাণ সময় সমুপস্থিত।
সে পাক লেতে তার লাগে সেই সময়ে