________________
বর্ধমান মহাবীব মহাশতকের কথামত মেৰতী সাত দিনের মধ্যেই দুরারােগ্য রােগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
বর্ধমান মহাশতকের ক্রোধের কথা, মেৰতীয় প্রতি কটুবাক্য প্রয়ােগের কথা জানতে পেয়েছেন। তিনি তাই গৌতমকে ডেকে বললেন, গৌতম, আমার অন্তেসী মহাশতক যেখানে অবস্থান করছে সেখানে যাও ও গিয়ে তাকে বল যে রেবতী তাকে প্রলুব্ধ করবার চেষ্টা করলেও তার ক্রুদ্ধ হওয়া, রেবতীকে কটুবাক্য বলা উচিত হয়নি। সমভাবে অবস্থানকারী শ্রমণােপাসককে এসব উপেক্ষা করতে হয়। যথার্থ সত্য হলেও অপ্রিয় কঠোর শব্দ বলতে হয় না। দেখামুপ্রিয় রেবতীকে কটুবাক্য বলে তুমি ভাল করনি। তুমি তার আলােচনা করাে, শুদ্ধ হও।
গৌতম মহশতককে গিয়ে সেকথা বললেন। মহাশতক নিজের ভুল বুঝতে পারলেন ও আলােচনা করে পরিশুদ্ধ হলেন।
সেই বছরের বর্ষাবাস বর্ধমান রাজগৃহেই ব্যতীত করলেন।
বর্ষাবাস অতীত হলেও বর্ধমান সেখানেই অবস্থান করতে লাগলেন।
সেই সময় একদিন গৌতম বর্ধমানের কাছে গিয়ে বললেন, ভগৰ, এই অবসর্পিণীর ষষ্ঠ দুষম-দুষম কালে ভারতবর্ষে অবস্থা কিরূপ হবে জানতে ইচ্ছে করি।
বর্ধমান বললেন, গৌতম, সেই সময় চারদিক হাহাকার, আর্তনা ও কোলাহলময় হবে। বিষয় অবস্থার জন্য কঠোর, ভয়ঙ্কর ও অসহ বাতাসের ঘুর্ণি ও আঁধি প্রবাহিত হবে, দিক সকল ধুমিল, ধুলােময় । অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে। কালের রুক্ষতায় অন্য ঋতু বিকৃত হবে, চা অধিক শীতল হবে, সূৰ অধিক উষ্ণ।
সেই সময় জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমকিত হবে, এৰল বাতাসে সলে মুষলধারে বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির জল অল্প, বিয়স, টক, ভিগো,