________________
১১০
| বর্ধমান মহাবীর কালােদারি আরও অনেক প্রশ্ন করলেন। বর্ধমান তার যথাযথ উত্তর দিলেন।
বর্ধমান সেই ৰাৰাস রাজগৃহে ব্যতীত করলেন।
ৰা অতিক্রান্ত হলে তিনি মগধভূমিতেই বিচরণ করে নি ধর্ম প্রচার করলেন। আর বর্ষার আগে রাজগৃহে ফিরে এলেন।
রাগৃহে তখন বহু অন্য তীর্থকেরা বাস করে। তত্ত্ব নিয়ে তারা আলােচনা করে, নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে। গৌতম সে সমস্ত আলােচনা শােনেন, অনুধাবন করেন। মনে প্রশ্ন জাগলে বর্ধমানের কাছে গিয়ে উপস্থিত হন। তার নিরাকরণ করে নেন।
পরমাণু সম্পর্কে আলােচনা শুনে গৌতমের মনে প্রশ্ন জেগেছে। তার নিরাকরণের জন্য তিনি বর্ধমানের কাছে উপস্থিত হলেন। তাঁকে বন্দনা করে বললেন, তগৰ, অন্য তীর্থিকেরা বলে দুই পরমাণু একত্র হয় না কারণ তাতে স্নিগ্ধতা নেই। তিন পরমাণু একত্র হয় কারণ তিন পরমাণুতে স্নিগ্ধতা আছে। এই একত্ৰিত তিন পরমাণুকে বিশ্লেষণ করলে তিন ভাগ হতে পারে, দুভাগ হতে পারে। দুভাগ হলে দেড় দেড় পরমাণুর এক এক ভাগ হবে। এভাবে চার পাঁচ পরমাণু এক মিলিত হতে পারে। ভগব, তাদের একথা কি সত্য?
বর্ধমান বললেন, গৌতম, পরমাণু সম্পর্কে অন্যতীর্থিকদের এই মা আমার ঠিক মনে হয় না। এই বিষয়ে আমার মত এই যে দুই পরমাণুও একত্র হতে পারে কারণ তাদের মধ্যেও পরস্পরকে যুক্ত করার স্নিগ্ধতা আছে। মিলিত দুই পরমাণুকে ভাঙলে আবার তা এক এক পরমাণু হবে। এভাবে তিন পরমাণু মিলিত হতে পারে। তবে মিলিত তিন পরমাণুকে দুভাগে ভাঙলে অতীর্ষিকের যেমন বলেন দেড় দেড় পরমাণুর দুই ভাগ হবে, তা হয় না। দুই ভাগের এক ভাগে এক পরমাণু খাৰুৰে, অাগে দুই পক্ষ।