________________
তীর্থংকর
কেন ? কিভাবে আমরা অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত ?
আধগণ, তোমরা হাঁটার সময় পৃথিবীকায় জীবের ওপর আক্রমণ কর, প্রহার কর, পা দিয়ে ভল, ঘন, তাদের পীড়িত কর, তাদের হত্যা কর । এভাবে পৃথিবীকায় জীবের ওপর আক্রমণকারী তোমরা অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত ।
আর্যগণ, আমরা চলার সময় পৃথিবীকার জীবের ওপর আক্রমণ করি না। শরীর রক্ষার জন্য, অসুস্থ সেবার জন্য অথবা বিহার চর্যার জন্য যখন আমরা মাটির ওপর চলি তখন বিবেকপূর্ণভাবে ধীরে ধীরে পদক্ষেপ করি । তাই আমরা পৃথিবীকে আক্রমণ করি না, পৃথিবীকায় জীব বিনাশ করি না । কিন্তু আর্যগণ, তোমরা নিজেরাই পৃথিবীকায় জীৰ আক্রমণ কর, নিহত কর ও অসংযত, অবিরত ও অপণ্ডিত হও।
১৮৯
আর্যগণ, তোমাদের মত অগম্যমান অগত, ব্যতিক্রম্যমান অব্যতিক্রান্ত, সংপ্রাপ্তমান অসংপ্রাপ্ত ?
আর্যগণ, না, আমাদের মত এরূপ নয় । আমাদের মতে গম্যমান গত, ব্যতিক্রম্যমান ব্যতিক্রান্ত ও সংপ্রাপ্যমান সংপ্রাপ্ত ।
অন্যতীথিকেরা এভাবে নিরুত্তর হয়ে ফিরে গেল ।
গুণশীল চৈত্যে অন্তেবাসী কালোদায়ি একদিন বর্ধমানকে প্রশ্ন করলেন, ভগব, দুষ্টফলদায়ক অশুভ কর্ম জীব নিজে করে সে কথা কি সত্য ?
বর্ধমান বললেন, হ্যাঁ কালোদায়ি, জীব দুষ্ট ফলদায়ক কর্ম নিজে করে সেকথা সত্য ।
ভগবন্, জীব এরকম অশুভ ফলদায়ক কর্ম কিভাবে করে ?
কালোদায়ি, সরস বহুব্যঞ্জনযুক্ত বিষ মিশ্রিত অম্ল যখন কেউ ভোজন করে তখন তা তার ভালো লাগে । তার তৎকালিক স্বাদে লুব্ধ হয়ে সে তা খায় কিন্তু তার পরিণাম অনিষ্টকর। কালোদারি, সেইরকম কেউ যখন হিংসা করে, চুরি করে, কাম ক্রোধ লোভ ও মোহের বশবর্তী হয় তখন তা তার ভালো লাগে। কিন্তু তাতে যে পাপকর্মের বন্ধন হয় তা অনিষ্টকর। এবং সেই ফল তাকেই ভোগ করতে হয় ।