________________
তীর্থংকর
এভাবে গৌতম বর্ধমানকে অনেক প্রশ্ন করলেন। বর্ধমান তার
প্রত্যেকটির নিরসন করলেন।
॥ ২৭ ॥
পরের বছরের বর্ষাবাস নালন্দার ব্যতীত হল ।
১১১
॥ ২৮ ॥
নালন্দা হতে বর্ধমান মিথিলার দিকে গমন করলেন। সেই বছরের বর্ষাবাস মিথিলায় ব্যতীত হল ।
॥ ২১ ॥
মিথিলা হতে তিনি রাজগৃহে আবার ফিরে এলেন ।
রাজগৃহে তখন বর্ধমানের গৃহস্থ শিষ্য মহাশতক অনশন নিয়ে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছিলেন। আনন্দের মত তাঁরও অবধিজ্ঞান হয়েছে। তিনিও বহুপূর অবধি দেখতে ও জানতে পান ।
মহাশতক যখন একদিন রাত্রে ধর্মধ্যানে রাত্রি জাগরণ করছিলেন তখন তাঁর স্ত্রী রেবতী মদিরা পান করে তাঁর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন ও তাঁর সঙ্গ প্রার্থনা করলেন। মহাশতক প্রথমে নিরুত্তর রইলেন কিন্তু যখন রেবতী নানাভাবে তাকে প্রলুব্ধ করা হতে বিরত হলেন না তখন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে বলে উঠলেন, রেবতী, এত উন্মত্ত হয়ো না। আমি দেখতে পাচ্ছি সাত দিনের মধ্যে হুরারোগ্য রোগে ভোমার মৃত্যু হবে ও তুমি নরকে যাবে।
রেবতী সে কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলেন ও প্রতিনিবৃত্ত হয়ে নিজের ঘরে ফিরে এলেন। ভাবলেন মহাশতক তাঁকে না জানি কিভাবে এখন হত্যা করবেন!