________________
তীর্থংকর
১৮৫ গৌতম বললেন, হ্যা, আনন্দ, গৃহী শ্ৰমণােপালকের অধিজ্ঞান হতে পারে।
আনন্দ বললেন, ভগ, গৃহস্থধর্ম পালন করতে করতে আমারও অবধি জ্ঞান হয়েছে যাতে পূর্ব দক্ষিণ পশ্চিম লবণ সমুদ্রে পাঁচশ মােন, উত্তরে ক্ষু-হিমবৎ বধ, উধ্বে সৌধম কল্প ও অধােভাগে লােচ্ছঅ নরকাস পর্যন্ত সমস্ত রূপী পদার্থ জানছি ও দেখছি।
গৌতম বললেন, আনন্দ, শ্রমগােপাসকের অবধি জ্ঞান হয় কিন্তু এত দূরগ্রাহী হয় না, যতটা তুমি বলছ। এই ভ্রান্ত কথনের এ তােমার আলােচনা করে প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত।
আনন্দ বললেন, ভগ, জৈন প্রবচনে কি সত্য প্ররূপণের জন্য প্রায়শ্চিতের বিধান আছে।
না, আনন্দ, এমন নয়।
তৰে ত ভগ, আপনিই প্রায়শ্চিত্ত করুন, কারণ আমার কথার প্রতিবাদ করে আপনি অসত্য এরূপণ করেছেন।
আনন্দের এই উক্তিতে গৌতমের মনে শঙ্কার উদ্ভব হল। তিনি পূতিপলাশ চৈত্যে ফিরে এসেই ভিক্ষা চর্ষার আলােচনা করে বর্ধমানকে আনন্দের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন। বললেন, ভগব, এ ব্যাপারে আলােচনা প্রায়শ্চিত্ত আনন্দের করা উচিত না আমার।
বর্ধমান বললেন, গৌতম, এই বিষয়ে তােমানই আলােচনা প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত এবং আনন্দের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা। | গৌতম তখনি আনন্দের কাছে ফিরে গেলেন ও আলােচনা প্রায়শ্চিত্ত করে আনন্দের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
সে বছরের চাতুর্মাস্য বর্ধমান বৈশাখীতে ব্যতীত করলেন।
২৪।
চাতুর্মাস্য শেষ হলে তিনি কোশলভূমির দিকে প্রস্থান করলেন নানা নগর ও এম অতিক্রম করে সাকেতে এসে উপস্থিত হলেন।