________________
১৮৩
তীর্থংকর , গোতম না। কিন্তু এ সেই জীবই যে প্রথমে সহিংসা পরিত্যাগী ছিল কিত এখন নয়। প্রথমে সংযত ছিল এখন নয়। এই রকমই এলকায় হতে স্থানকায়ে উৎপন্ন জীব এস নয়, স্থাবরই।
নিগ্রন্থগণ, কোনাে পরিব্রাজক বা পরিব্রাজক স্বীয় মত পরিত্যাগ করে নিগ্রস্থ মত গ্রহণ করে তবে নিগ্রন্থ শ্ৰমণ তার সঙ্গে আহারাদি করবে কি করবে না?
করবে, অবশ্য করবে।
সেই শ্ৰমণ যদ পুনরায় গৃহস্থ হয়ে যায় তবে তার সঙ্গে শ্রমণে আহারাদি করবে কি করবে না?
, করবে না।
শ্ৰমণগণ, এই সেই জীব যার সঙ্গে প্রথমে আহারাদি করা যেত কিন্তু এখন যায় না। কারণ প্রথমে সে শ্ৰমণ ছিল এখন নয়। এই রকমই এসকায় স্থাবরকায়ে উৎপন্ন জীব এস হিংসা প্রত্যাখ্যানকারীর বিষয় নয়।
এভাবে গৌতম অনেক দৃষ্টান্ত দিয়ে এস জীব মরে স্থাবর জীব হয় ও তাদের যদি হিংসা হয় ত শ্রমণােপাসকের ব্রত ভঙ্গ হয় এই মান্যতার নিরসন করলেন।
সমস্ত জীৰ স্থাৰর হয়ে গেলে সজীব হত্যা প্রত্যাখ্যানকামী এত নির্বিষয় হয়ে যায় –উদকের এই উক্তির খণ্ডন করতে গিয়ে বললেন, শ্রমণগণ, যে সৰ শ্ৰমণােপাসক দেশ বিরতি ধর্ম পালন করে শেষে অনশনে সমাধিমাণ প্রাপ্ত হয় ও যে সৰ শ্ৰমণণাপাসক প্রথমে বিশেষ ব্ৰত প্রত্যাখ্যান পালন করতে না পেরে শেষে অনশনে সমাধিমণ করে মৃত্যু প্রাপ্ত হয়, তাদের মৃত্যু কিরূপ?
তাদের মৃত্যু প্রশংসনীয়।
যে সৰ জীব এভাবে মৃত্যু বরণ করে তারা এ প্রাণীরূপে উৎপন্ন হয়। তাই এস মহত্যা প্রত্যাখ্যানকামী এমণোপাদকের ছের বিষয়।