________________
বর্ধমান মহাবীর
মরে স্থাবর হয়ে যায় বা স্থাবর এস তাহলে এস হিংসা প্রত্যাখ্যান সে কিভাবে পালন করবে ?
আয়ুষ্মন্ উদক, এমন কখনো হয় না যে সহসাই সব এস স্থায়, ও সব স্থাবর এস হয়ে যায় কিন্তু যদি তর্কের জন্য আপনার কথা স্বীকারও করি তবু বলব যে তাতে এস হিংসার প্রত্যাখ্যানে ৰাধা হয় না । কারণ স্থাবর পর্যায়ের হিংসায় তার ব্রত খণ্ডিত হয় না এবং সে অধিক এস পর্যায়ের জীবের রক্ষা করে। আর্য উদক, যে সমস্ত শ্রমণোপাসক এস জীবের হিংসা হতে নিবৃত্ত হয় তাদের জন্য কোনো পর্যায়ের হিংসার প্রত্যাখ্যান নয় বলা কি উচিত ? এভাবে নিগ্রন্থ প্রচনে মতভেদ উপস্থিত করা কি ভালো?
গৌতম ও উদকের আলোচনায় আকৃষ্ট হয়ে সেখানে আরও কিছু পার্শ্বাপত্য শ্রমণেরা এসে উপস্থিত হলেন। তাই দেখে গৌতম বললেন, আর্য উদক, এই বিষয়ে আপনার স্থবির নির্গ্রন্থদেরই আমি জিজ্ঞাসা করছি, আয়ুষ্মন্, এই সংসারে এমন অনেকের প্রতিজ্ঞা আছে : জীবন কাল পর্যন্ত শ্রমণের হিংসা করব না । শ্রমণদের কেউ যদি শ্রামণ্য পরিত্যাগ করে গৃহস্থাশ্রমে ফিরে যায়, সেই অবস্থায় সাধু হিংসা পরিত্যাগকারী সেই গৃহস্থ যদি সেই গৃহস্থরূপী সাধুর হিংসা করে তবে কি তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে ?
না, গৌতম না । তাতে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে না । নির্গ্রন্থগণ, এই রকমই এস জীব হিংসা পরিত্যাগকারী শ্রমণোপাসক যদি স্থাবরকারের হিংসাও করে ত প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে না ।
নিগ্রন্থগণ, কোন গৃহপতি বা গৃহপতিপুত্ৰ ধৰ্মশ্রবণ করে সর্বতাগী শ্রমণ হয়ে যায় তৰে তাকে সর্বহিংদা পরিত্যাগী বলা যায় কিনা ? হ্যাঁ, গৌতম, নিশ্চয়ই বলা যায় ।
কিন্তু সেই শ্রমণ চার বা পাঁচ বছর বা তার কিছু অধিক বা কিছু কম সময় পর্যন্ত শ্রমণ ধর্ম পালন করে গৃহস্থাশ্রমে ফিরে আসে তৰে কি তাকে সর্বহিংসা পরিত্যাগী বলা যাবে ?
১৮২