________________
১৮৪
বর্ধমান মহাবীর | নিগ্রগণ, এমন কখনো হয় না যে সমস্ত স জীব স্থাবর হয়ে যাবে বা সময় স্থাবর জীব এস হয়ে যাবে। তখন কি এক বলা উচিত যে এমন কোনো পর্যায় নেই যা এমপােপাশকের ব্রতের বিষয়। আর এই নিয়ে যে মতভেদ উপস্থিত করে তা কি সমর্থন যােগ্য?
উদক তখন নিজের ভুল বুঝতে পারলেন ও গৌতমের সঙ্গে বর্ধমানের কাছে এলেন। বর্ধমানের প্রবচন শুনে তার কাছে তিনি পঞ্চম ধর্ম গ্রহণ করলেন।
এই বছরের চাতুর্মাস্য বর্ধমান নালন্দায় ব্যতীত করলেন।
| বর্ষা ঋতু শেষ হলে নানা স্থানে প্ৰজন করতে করতে বর্ধমান নালন্দা হতে বাণিজ্যগ্রামে এলেন। সেখানে দূতিপলাশ চৈত্যে অবস্থান করলেন।
একদিন ভিক্ষাচর্যা হতে ফিরে আসবার পথে কোল্লাগ সন্নিবেশের নিকট ইন্দ্রভূতি গৌতম শুনতে পেলেন যে বর্ধমানের গৃহস্থ শিষ্য শ্ৰমণণাপাসক আনন্দ আমরণ অনশন নিয়ে দর্ড শয্যায় শুয়ে রয়েছেন। তখন তিনি ভাবলেন যে আনন্দ হয় ত আর বেশী দিন বাঁচবে না। তাই তার সঙ্গে দেখা করে যাই। গৌতম তখন কোল্লাগে তার পৌষধশালায় গিয়ে উপস্থিত হলেন।
| গৌতমকে দেখেই আনন্দ তাকে নমস্কার করে বললেন, ভগ, আমি অনশনে থাকায় অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছি। আপনি নিকটে এলে আপনাকে নতমস্তক হয়ে বন্দনা করি।
গৌতম তাঁর নিকটে গেলে তিনি গৌতমের বন্দনা করলেন। তারপর তাঁদের মধ্যে নানা কথা হল। এক সময় আনন্দ প্রশ্ন করলেন, ভগ, বয়ে থেকে গৃহধর্ম পালন করতে করতে কি গৃহ শ্রাবকের অধিন হতে পারে।