________________
তীর্থংকর
এজন্য এস রূপে যে অধাত্য ছিল তাই প্রত্যাখ্যানে 'এস জীবের '
স্থাবর রূপে উৎপন্ন হতে পারে । স্থাবর রূপে সে ঘাত্য হয়ে যায়। স্থানে 'ত্রসভূত জীবের' হওয়া উচিত। ভূত শব্দের ব্যবহারে সেই দোষ পরিহার করা যায় । গৌতম, আমার কথা কি আপনার ঠিক মনে হচ্ছে না ?
গৌতম বললেন, আয়ুষ্মন্ উদক, আমার কিন্তু আপনার কথা ঠিক মনে হচ্ছে না। কারণ এতে বক্তব্যকে আরও জটিল করাই হয় । কারণ সংসারে সংসারী জীব কর্মানুসারে এস হতে স্থাবর, স্থাবর হতে এস রূপে জন্ম গ্রহণ করেই। কিন্তু যখন ওই প্রত্যাখ্যান করান হয় তখন সেই সময় যারা এসকায়রূপে উৎপন্ন হয়েছে তাদেরই প্রত্যাখ্যান করান হয়, এইমাত্র। তাই ভূত বিশেষণ দেবার প্রয়োজন করে না ।
গৌতম, 'ত্রস'-র আপনি কি অর্থ করেন ? এস প্রাণ সো এস
১৮১
ৰা অন্য ।
আয়ুষ্মন্ উদক, আপনি যাদের ত্রসভূত প্রাণ ৰলেন আমরা৷ তাদেরই এন প্রাণ বলি। এ দুইই সমার্থক । আপনার বিচারে ত্রসভূতপ্রাণ এস নির্দোষ, এসপ্রাণ এস সদোষ । কিন্তু আয়ুষ্মন্, যাতে বাস্তবিক কোনো ভেদ নেই, এরকম বাক্যের একটির খণ্ডন ও অন্যের মণ্ডন করা বৃথাই নয়, মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করা। আর্য উদক, এস মরে স্থাবর হয় তাই এস হিংসা প্রত্যাখ্যানকারীর হাতে সেই রকম স্থাবর হত্যায় প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয় আপনার সে কথাও ঠিক নয়, কারণ ত্রস নাম কর্মের উদয়েই জীবকে এস বলা হয় । আর যখন এ গতির আয়ুষ ক্ষয় হওয়ার ক্রসকায়িক শরীর পরিত্যাগ করে স্থাবরকায়িক শরীর গ্রহণ করে তখন স্থায়কারিক নাম কর্মের জন্য তাদের স্থাবরকারিকই বলা হৰে ।
আয়ুষ্মন্ গৌতম, তবে ত এমন কোনো পর্যায়ই পাওয়া যাবে না যা ত্যাজ্য হিংসার বিষয় হয় আর যখন হিংসার কোনো বিষয়ই থাকে না তখন কার হিংসার প্রত্যাখ্যান করবে। যদি সহসাই সমস্ত