________________
তীর্থংকর
১৭১ নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, ধর্মান্তিকায় নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। ভালই হল আতপুত্রের শিষ্য গৌতমও এসে গেলেন। চল, একেই আমরা আমাদের সংশয়ের কথা বলি। | তখন তারা গৌতমের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন ও বললেন, আর্য, আপনার ধর্মাচার্য জ্ঞাতপুত্র ধর্মান্তিকায় আদি ৰে পঞ্চাস্তিকায়ের কথা বলেন তার মধ্যে চারটিকে অজীৰকায় ও একটিকে জীৰকায় বলেন। এ বিষয়ে আমরা কি বুঝ? এর রহস্য আমাদের বলুন। | প্রত্যুত্তরে গৌতম বললেন, দেপ্রিয়, আমরা অস্তিত্বে নাস্তিত্ব ৰা নাস্তিত্বে অস্তিত্ব বলি না, আমরা অস্তিত্বকে অন্তি এবং নাস্তিত্বকে নাস্তি বলি। হে দেবানুপ্রিয়, এ বিষয়ে তােমরা নিজেরাই বিচার কর যাতে এর রহস্য বুঝতে পার।
এই বলে পঞ্চান্তিকায়ের রহস্যকে আরও রহস্যময় করে দিয়ে গৌতম গণশীল চৈত্যে ফিরে গেলেন। | অতীর্থিকেরা গৌতমের কথায় কিছুই বুঝতে পারলেন না। তারা তখন গৌতমকে অনুসরণ করে বর্ধমান যেখানে বসেছিলেন সেখানে এসে উপস্থিত হলেন।
বর্ধমান তখন ধর্মোপদেশ দিচ্ছিলেন। প্রসঙ্গ আসতেই তিনি কালােদায়িকে সম্বােধন করে বললেন, কালােদামি, তােমরা কি পঞ্চান্তিকায়ের বিষয়ে আলােচনা করছিলে?
হণ, দেবা, আপনি পঞ্চাস্তিকায় নিরূপণ করেছেন তা যেদিন হতে জানতে পারি সেদিন হতে তাই নিয়ে সময়ে সময়ে আলােচনা করি। | বর্ধমান বললেন, কালােদামি, একথা সত্য যে আমি পাতিকায় নিরূপণ করেছি। এবং এও সত্য যে আমি চায় অস্তিকায়কে অলীকায় এবং এক অস্তিকায়কে জীবকায়, চার অতিকায়কে অরূপীকায় ও এক অস্তিকায়কে রূপকায় বলি।
ভগব, আপনার নিরূপিত এই ধর্মাতিকায়, অধর্মাতিকায়, আকাতিকায় বা জীবাষিকায়ের ওপর কেউ কি শুতে, বসতে । নাতে পারে?