________________
১৭
বর্ধমান মহাবীর , পাই না। আর্যগণ, দেবলােকগত রূপ কি আপনারা দেখতে পান।
, পাই না। সেই রকম, আর্যগণ, আপনার, আমরা বা অন্য কেউ যে ৰন্তু দেখতে পায় না তা নেই তা বলা যায় না। তা হলে এমন অনেক ৰক্ত রয়েছে যাদের নিষেধ করতে হয়। এবং তা করলে আপনাদের লােকের এক বৃহৎ অংশকেই অস্বীকার করতে হয়।
মুক এভাবে অন্যতীর্থিকদের নিরুত্তর করে বর্ধমানের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।
মুদ্দক অতীখিকদের প্রশ্নের যে উত্তর দিয়েছেন তা অনুমােদন করে বর্ধমান বললেন, মুদ্দক, অতীর্থিকদের প্রশ্নের তুমি যথার্থ উত্তর দিয়েছ। কোনাে প্রশ্ন বা উত্তর না বুঝে শুনে করা বা দেওয়া উচিত নয়। যে না বুঝে শুনে তর্ক করে বা কোনাে বস্তু প্রতিপাদন করতে চায়, সে অহৎ ও কেবলী নিরূপিত ধর্মের অমর্যাদা করে। মুদ্দক, তুমি ঠিক, উচিত ও যথার্থ উত্তর দিয়েছ।
| মুদ্দক আরও কিছুক্ষণ সেখানে বসে ধর্মচর্চা করলেন। তারপর ঘরে ফিরে গেলেন।
সেই বছরের বর্ষাবাস বর্ধমান রাজগৃহেই ব্যতীত করলেন।
। ২২। বর্ষাশেষে রাজগৃহ হতে প্ৰব্ৰজন করে বর্ধমান নানা স্থানে পর্যটন করলেন। তারপর বর্ষার আগে আবার রাজগৃহে ফিরে এলেন।
ইন্দ্রভূতি গৌতম একদিন ভিক্ষাচর্যায় গিয়ে গুণশীল চৈত্যে ফিরে আসছিলেন। ঐ সময় কালােদায়ি, শৈলােদামি প্রভৃতি অতীনিকদের কয়েকজন বর্ধমানের পান্তিকায়ের বিষয় নিয়ে আলােচনা কর। ছিলেন। গত বছর মুদ্দক তাঁদের নিরুত্তর করে দিলেও তাঁদের মনের সংশয় সময়টা এখনাে যায় নি। তাই গৌতমকে জয় দেখতে পেয়ে