________________
১৭৬
বর্ধমান মহাবীব | গৌতম বললেন, তগৰ, অতীর্থিকেরা বলেন, প্রাণ হিংসা, মিথ্যা, চুরি, সংগ্রহেচ্ছা, ক্রোধ, মান, মায়া, লােভ আদি দুষ্ট তাৰে এবৃত্তিকারী প্রাণীর জীব ও তার জীবাত্মা পৃথক। এইভাবে এর বিপরীত শুভভাবে প্রবৃত্তিকারী প্রাণীর জীব ও তার জীবাত্মা পৃথক। ভগ, অতীর্থিকদের এই মান্যতা সত্য, না মিথ্যা?
বর্ধমান বললেন, গৌতম অঙ্গ তীর্থিকদের এই মান্যতা মিথ্যা। এই বিষয়ে আমার মত এই যে শুভ অশুভ প্রবৃত্তিকারী প্রাণীর জীৰ ও জীবাত্মা একই। যা জীব, তাই জীবাত্মা। | ভগব, অতীর্থিকেরা বলেন, যক্ষ ভর করলে কেৰশীও মিথ্যা বা সত্য-মিথ্যা বলেন, সে কি রকম?
গৌতম, অতীর্থিকদের এই উক্তিও মিথ্যা। এই বিষয়ে আমার মত এই যে কেবলীর ওপর কখনাে যক্ষের তর হয় না বা তিনি মিথ্যা ৰা সত্য-মিথ্যা বলেন না। তিনি যা নির্দোষ সত্য তাই বলেন।
রাজগৃহ হতে বর্ধমান চম্পার দিকে গেলেন। তারপর নানাস্থান প্রত্ৰন করে আবার রাজগৃহের গুণশীল চৈত্যে ফিরে এলেন।
সেই সময় গুণশীল চৈত্যের নিকটে কালােদামি, শৈলেদামি, শৈবালােদামি, উদক আদি অনেক অতীর্থিক সাধু ও শ্রমণে ৰাস করতেন। মাঝে মাঝে তাঁরা বর্ধমাননাক্ত তত্ত্ব নিয়ে আলােচনাও করতেন। একবার তাঁরা বর্ধমান নিরূপিত পঞ্চাস্তিকায় বিষয়ে আলােচনা করছিলেন। বলছিলেন, এমণ জ্ঞাতপুত্র বলেন ধর্মান্তিকাম, অধর্মান্তিকায়, আকাশাস্তিকায়, জীস্তিকায় ও পুদগলস্তিকায় এই পাঁচ রকমের অস্তিকায় আছে। এই পাঁচটির মধ্যে জীবিকায়কে জীৰকায় বলেন অন্য চারটিকে অজীবকায় বলেন। আবার ধর্মান্তিকায়, অর্মাস্তিকায়, আকাশান্তিকায় ও জীবন্তিকায়কে অরূপকার ও পুদগনাস্তিকায়কে রূপীকায় বলেন। একি সত্য?
| ঠিক সেই সময় গুণশীল চৈত্যে অবস্থিত বর্ধমানকে বন্দনা নমস্কাৰ কৰার জন্য সেই পথ দিয়ে এমপােপাস মূক বালিলেন। তাঁকে দুর হতে দেখতে পেয়ে কালােদায়ে বললেন, সেবা ,