________________
১১৮
বর্ধমান মহাবীর থাকে। তার এ পরিগ্রহ-পরিমাণ। সঞ্চয়ের সীমা নির্ধারণ, রাষ্ট্রের নির্দেশে, দণ্ডের ভয়ে নয়; ৰেচ্ছায়, ব্ৰত গ্রহণে।
আর্থিক বৈষম্য নিকদের মধ্যে যেমন আনে নৈতিক পতন, দরি, শােষিতদের মধ্যে তেমনি অসন্তোষ ও বিক্ষোভ, যার পরিণাম বন্দ্ব, সংঘাত, মৃত্যু। সে অবস্থা সর্বোদয়ের পরিপন্থীই নয়, গণতন্ত্রেরও।
॥
৪
॥
বাণিজ্যগ্রাম হতে বর্ধমান গেলেন মগধভূমির দিকে। মগধের নানাস্থানে পরিভ্রমণ করে তিনি শেষে এলেন রাজগৃহে। রাজগৃহের গুণশীল চৈত্যে তিনি এবারের চাতুর্মাস্য যাপন করবেন।
রাজগৃহে অনেককেই তিনি দীক্ষিত করলেন, অনেকে শ্রাবক ব্ৰত গ্রহণ করল।
যাদের এবার তিনি দীক্ষিত করলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন শ্রেষ্ঠ শালিভদ্র ও ধন্য।
শালিভদ্র ছিলেন গােভদ্র শ্রেষ্ঠ পুত্র। অপরিমিত ধনের অধিকারী। তাঁর যত ধন ছিল বােধহয় মগধের রাজকোষেও তত ধন ছিল না। | একবারের কথা। শ্রেণিকের রাজসভায় নেপাল হতে বণিক এল কম্বল নিয়ে যার এক একটির মূল্য এক লক্ষ কাৰ্ষাপণ।
শ্রেণিক সে রকম্বল কিনতে পারলেন না। সে রত্ন-কম্বল কিনে নিলেন শালিভদ্রে মা ভদ্রা। একটি নয়, যােলটি। বত্রিশটি তিনি কিনতে চেয়েছিলেন তাঁর ৰত্ৰিশ পুত্রবধুর জন্য কিন্তু বণিকদের কাছে আর কম্বল ছিল না।
এ খবর যখন শ্রেণিকের কানে গেল তখন তিনি আশ্চর্যান্বিত হলেন। মনে মনে ভাবলেন, শালি এত কি ধনী। কিন্তু আশ্চর ৰা তখনাে ায় বাকী ছিল।