________________
বর্ধমান মহাবীর | এভাবে আর্জকের কথায় গােশালক নিরুত্তর হয়ে নিজের পথ নিলেন। তিনি চলে যেতে শাক্যপুত্রীয় ভিক্ষুরা এগিয়ে এসে বললেন, আর্তক, বণিকের দৃষ্টান্ত দিয়ে ৰাহ প্রবৃত্তির খণ্ডন করে তুমি ভাল করেছ। আমাদেরও এই মত। বাহ প্রবৃত্তি ৰন্ধ মােক্ষের কারণ নয়। কারণ অন্তরঙ্গ প্রবৃত্তি। আমাদের মতে যদি কোনাে লােক খড়ের মানুষকে মানুষ জ্ঞানে খুলে দেয় তবে সে জীবহত্যার দোষে দোষী হয় আর যদি মানুষকে খড়ের পুতুল জ্ঞানে খুলে দেয় তবে তার কোনাে পাপই হবে না। এরকম মানুষের মাংস বুদ্ধও ভােজন করতে পারেন। আমাদের শাস্ত্রে আছে নিত্য যে দু'হাজার বােধিসত্ত্ব ভিক্ষুকে খাওয়ায় সে মহান পুণ্য স্কন্দের অর্জন করে মহাসত্বশালী আনােগ্যদেব হয়ে জন্ম গ্রহণ করে।
আর্জক বললেন, হিংসা জন্য কার্যকে নির্দোষ বলা সংষতের পক্ষে অযােগ্য। যারা এ ধরনের উপদেশ দেন যারা এ ধরনের উপদেশ শােনেন তঁারা অনুচিত কাজ করেন। খড়ের ও সত্যিকার মানুষের যার জ্ঞান নেই তিনি নিশ্চয়ই মিথ্যাদৃষ্টিসম্পন্ন ও অনার্য। তা নইলে কি করে তিনি খড়ের মানুষকে মানুষ ও মানুষকে খড়ের মানুষ বলে মনে করছেন? ভিক্ষুর ত এ ধরনের স্কুল মিথ্যা কখনাে বলা উচিত নয়, যাতে কর্ম বন্ধ হয়। শুনুন, এই সিদ্ধান্তের দ্বারা কেউ কখনাে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করতে পারেনি, না জীবের শুভাশুভ কর্ম বিপাকেয়জ্ঞান। তাই যারা এই সিদ্ধান্তের অনুবর্তী তারা এই লােক কমলকবৎ প্রত্যক্ষ করতে সমর্থ নয়, না পূর্ব ও পশ্চিম সমুদ্র পর্যন্ত নিজের যশ বিস্তারিত করতে। ভিক্ষুগণ, যে শ্রমণ জীবের কর্ম বিপাকের কথা চিন্তা করে আহার দোষ পরিহার করেন ও অকপট বাক্যের এয়ােগ করেন তিনিই সংষত।
যাদের হাত রক্তরঞ্জিত এ ধরনের অসংযত মানুষ দু' হাজার ৰােধিসত্ত্ব ভিক্ষুদের নিত্যগােজন করালেও এখানে নিন্দাপাত্ৰই হন ও পালােকে দুর্গতিগামী। যারা বলেন প্রাণী হত্যা করে আমাকে যদি কেউ মাংস ক্ষণে এ আমন্ত্রণ করেন তবে সে মাংস গ্রহণে পাপ