________________
তীর্থকর বাস করলাম। তারপর যখন বাসনা উপশান্ত হল তথন আৰু সংসার পরিত্যাগের কথা ভাবতে লাগলাম।
আমার স্ত্রী আমার মনের কথা জানতে পেরে আমার সামনে সুতাে কাটতে বসল। তাই দেখে আমার ছেলে তাকে জিজ্ঞাসা করল, মা তুমি এ কি করছ? সে প্রত্যুত্তর দিল, বাবা, তােমার বাবা সংসার পরিত্যাগ করবেন—তাই সংসার চালাবার জন্য সুতাে কাটছি। | সে কথা শুনে আমার ছেলে সেই কাটা সুতাে নিয়ে আমায় বারাে পাকে জড়িয়ে বলল, দেখি এবার তুমি কি করে যাও?
| তার দুষ্টু হাসি, তার কচি হাতের স্পর্শ আমায় আবার মােহগ্রস্ত করে দিল। আমি সংসার পরিত্যাগ করতে পারলাম না। | মহারাজ, তাই বলছিলাম লােহার শেকল ভাঙা এমন কি আর শক্ত, যত শক্ত কঁচা সুতাের বাঁধন ছিড়ে বেরিয়ে আসা। আমাকে সেই বাঁধন ছিড়ে আসতে দেখে বুনাে হাতীটি তার লােহার শেকল ভেঙে অরণ্যের অসীম মুক্তিতে ফিরে গেল। | সেকথা শুনে শ্রেণিক আককে প্রণাম করে বললেন, আপনি ধন্য, আপনি কৃতকৃত্য। আর্তৃক তখন গেলেন বর্ধমানের কাছে।
বর্ধমান সেই চাতুর্মাস্য রাজগৃহেই ব্যতীত করলেন। তারপর সেখান হতে গেলেন কৌশাম্বী।
কৌশাম্বীতে সেদিন মহারাণী মৃগাৰতী মহামাত্য, মহাশুনায়ক এভৃতি উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের এক সভা আহ্বান করেছেন। সকলে উপস্থিত হলে তিনি সর্বসমক্ষে উপস্থিত হয়ে বললেন, আপনারা সকলে আশ্চর্য হয়ে ভাবছেন আজ কেন এই সভা ডেকেছি। আপনারা সকলে জানেন যে দীর্ঘদিন ধরে নগরীর