________________
১৫৬
বর্ধমান মহাবীর তাই সে যাই বলুক, যাই করুক, কেউ যেন তার প্রতিবাদ না করে। এমন কি কেউ যেন তার সঙ্গে শান্ত্রার্থেও প্রবৃত্ত না হয়।
আনন্দ সেকথা তাড়াতাড়ি সবাইকে গিয়ে জানিয়ে দিল।
কিন্তু সে ফিরে আসবার আগেই গােশালক আজৰিক শ্ৰমণদের দ্বারা পরিবৃত হয়ে বর্ধমান যেখানে বসেছিলেন সেখানে এসে উপস্থিত হলেন ও তাঁর দিকে চেয়ে বললেন, কাশ্যপ, তুমি ত খুব বলে বেড়াচ্ছ, আমি গােশালক মংখলীপুত্র, তােমায় ধর্মশিষ্য। কিন্তু কি অজ্ঞান। আয়ুষ্ম, তুমি কি জান, তােমার ধর্মশিষ্য মংখলীপুত্র গােশালকের কৰে মৃত্যু হয়েছে ? শােনাে কাশ্যপ, আমি তােমার শিষ্য মংখলীপুত্র গােশালক নই, আমি এক ভিন্ন আত্মা। গােশালকের শরীর উপসর্গ সহ্যক্ষম দেখে তাতে প্রবেশ করেছি মাত্র। আমি উদায়ী কুণ্ডিয়ান নামক ধর্ম প্রবর্তক। এই আমার সপ্তম শরীর এবেশ। তুমি জিজ্ঞেস করবে, আমি এভাবে অন্যের শরীরে প্রবেশ করি কেন? তার প্রত্যুত্তর আমাদের ধর্মশাস্ত্রানুসারে তােমায় দিচ্ছি। আমাদের ধর্মশাস্ত্রে রয়েছে চৌরাসী লক্ষ মহাকল্পের পর সাত দিব্য সংযুথিক ও সাত সংনিগর্ভক জীবন যাপন করে সাত শরীয়ান্তর প্রবেশের ভিতর দিয়ে সমস্ত জীব মােক প্রাপ্ত হয়। কাশ্যপ, আমি সাত দিব্য সাংযুথিক ও সাত সংনিগর্ভক জীবন যাপনের পর সপ্তম মনুষ্যতবে সাত শরীয়ায় গ্রহণ করেছি। সপ্তম মনুষ্যভবে আমি উদায়ী কুণ্ডিয়ান হয়ে জন্মগ্রহণ করি। রাজগৃহের বাইরে মণ্ডিতকুক্ষি চৈত্যে আমি উদায়ী কুণ্ডিয়ানের শরীর পরিত্যাগ করে ঐণেয়কের শরীরে প্রবেশ করি এবং সেই শরীরে বাইশ বছর বাস করি। উদ্দণ্ডপুর নগরে চন্দ্রাবতরণ চৈত্যে আমি ঐণেয়কের শরীর পরিত্যাগ করে মল্লয়ামের শরীরে প্রবেশ করি ও সেই শরীরে একুশ বছর বাস করি। চম্পা নগরীর অঙ্গমন্দির চৈত্যে ময়ামে শরীর পরিত্যাগ করে মাল্যমণ্ডিতের শরীরে প্রবেশ করি ও সেই শরীরে কুড়ি বছর বাস করি। বারাণসীর কাম মহাৰনে মাল্যমণ্ডিতের শরীর পরিত্যাগ করে মােয়র শরীরে এৰে কমি ও সেই শরীরে উনিশ বছর বাস