________________
বর্ধমান মহাবীর সর্বানুভূতির সেই হিতবাক্য গােশালকের ক্রোধাগ্নিতে ঘৃতাহুতির কাজ করল। শান্ত হবার পরিবর্তে তিনি আরও জালিত হয়ে উঠলেন ও সর্বানুভূতির ওপর তেজোলেখার প্রয়ােগ করে বসলেন। সর্বানুভূতি সেই তেখেলোয় প্রচণ্ড জ্বালায় দগ্ধ হয়ে সেইখানেই মৃত্যুবরণ করল।
গােশালক তখন বর্ধমানকে আরও কটুক্তি করে বলতে লাগলেন, অক্ষম। অপারগ! কোথায় তােমার সেই শীতলো, যে শীতলোয় তুমি গােশালককে এক সময় রক্ষা করেছিলে? তুমি ভুয়াে তীর্থংকর। জনসাধারণকে বৃথাই তুমি প্রতারিত করছ। কই চুপ করে বসে রয়েছ কেন? অনুতাপ হচ্ছে না নিজের শিষ্যকে এ ভাবে বিনষ্ট হতে দেখেও? ধিক্ তােমাকে।
শান্ত হও গােশালক, শান্ত হও-বলে এগিয়ে এল শ্রমণ সুনক্ষত্র। তার ধর্মগুরুর অপমান সেও সহ্য করতে পারছিল না। সে গােশালককে শান্ত করতে গেল।
সহ হচ্ছে না বুঝি তােমার ধর্মগুরুর অপমান? আচ্ছা, তার আলা হতে তােমায়ও আমি মুক্তি দিচ্ছি বলে হা-হা করে হেসে উঠলেন গােশালক। তারপর দেখতে দেখতে সর্বানুভূতির মত সুনক্ষত্রও সেইখানে তেজোলেখার প্রচণ্ড জ্বালায় দগ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।
গােশালক তখন আত্ম পরিতৃপ্তির হাসি হেসে বর্ধমানের দিকে চেয়ে বললেন, দেখলে কাশ্যপ, দেখলে আমার তপঃপ্রভাৰ। তােমার দু’ দু’জন শ্যি কি ভাবে আমার তেজোলেখায় মৃত্যুবরণ করল। এর পরও কি তুমি বলৰে আমি মংখলীপুত্র গােশালক, আমি তােমায় শিষ্য । | যা সত্য তা বলতেই হবে গােশালক! তুমি নিজেই আমাকে তােমার মর্মার্থরূপে বরণ করেছিলে। আমি তােমাকে ধীকার করেছিলাম। তাই আমি তােমার ধর্মগুরু। গােশাল, তুমি এখন কোষের আবেশে রয়েছ তাই যথার্থ বিবেচনা শক্তি হাৱিয়ে ফেলে। তুমি যা কয়েছ তা গঠিত, তা অনুচিত।