________________
বর্ধমান মহাবীর
কথা চিন্তা কর, আমার কিসে ভালো হবে সে আমি নিজেই স্থির
করে নেব।
সে তো ভালো কথা, বলে বর্ধমান একটু হাসলেন, তারপর নিজের শ্রমণ সঙ্ঘের দিকে চেয়ে বললেন, এবারে তোমরা ওর সঙ্গে কথা বলতে পার, ওর সঙ্গে বাদ-বিবাদ করতে পার । তেজোলেখা চিরকালের জন্য বিনষ্ট হয়ে গেছে ।
গোশালকের
কিন্তু আর কথা বলবার বা বাদ-বিবাদ করবার মত অবস্থা তখন গোশালকের ছিল না । তেজোলেখার জ্বালায় তাঁর সমস্ত শরীর দগ্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তাই তার প্রয়োজন নেই, বলে তিনি সশিষ্য সেই স্থান পরিত্যাগ করে হালাহলার ভাওশালায় ফিরে গেলেন ।
১৬.
গোশালক হালাহলার ভাওশালায় ফিরে গেলেন কিন্তু তাঁর সম্পর্কে বর্ধমানের কথাই সত্যি হল। গোশালক দাহজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাত দিনের দিন হালাহলার ভাওশালায় শেষ নিশ্বাস পরিত্যাগ করলেন।
গোশালক প্রযুক্ত তেজোলেশ্যা বর্ধমানের তাৎকালিক কোনো ক্ষতি না করলেও পরে তার প্রভাবে তাঁর দেহ পিত্তজ্বরে আক্রান্ত হল ।
বর্ধমান তখন মেঢ়িয় গ্রামে অবস্থান করছিলেন এবং সেই · ঘটনারও ছ'মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তবু তাঁকে দুর্বল ও ক্ষীণ হতে দেখে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে কথা বলাবলি করতে লাগল : বর্ধমান দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাঁর সম্পর্কে গোশালকের ভবিষ্যদ্বাণী যেন না সত্যি হয়ে যায় ।
সালকোষ্ঠক চৈত্যের কাছে মালুকাচ্ছে ধ্যান করতে করতে বর্ধমান শিষ্য সিংহ সেই কথা শুনল। সেই কথা তার কানে যেতে তার ধ্যানভঙ্গ হল । সে ভাবতে লাগল, তবে কি সত্যি ভগবান বৰ্ধমান সম্বন্ধে গোশালকের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হবে ? তাহলে লোকে কি বলবে ?