________________
তীর্থংকর
১৬। মতভেদ দেখে আপনার মনে কি কোনাে সংশয় বা শঙ্কায় উদয় হয় না।
চতুর্যাম ধর্মে অহিংসা, সত্য, অচৌর্য ও অপরিগ্রহ পালনীয়। পঞ্চম ধর্মে এই চারিটির সঙ্গে ব্রহ্মচর্যও।
গৌতম বললেন, পূজ্য কুমার-শ্রমণ, ধর্মতত্ত্বের উপদেশ মানুষের বুদ্ধি ও সামর্থ্যানুযায়ী হয়ে থাকে। তাই যে সময়ে যে ধরনের মানুষ জম্মায় সেই সময় তাদের বুদ্ধি ও সামর্থ্যানুযায়ী ধর্মতত্ত্বের উপদেশ হয়। প্রথম তীর্থংকরের সময় মানুষ সরল ছিল কিন্তু জড়বুদ্ধি তাই তাদের পক্ষে আচারমার্গ শুব্ধ রাখা কঠিন ছিল। আর আজ শেষ তীর্থংকরের সময় মানুষ কুটিল ও জড়বুদ্ধি। তাই তাদের পক্ষেও আচারমার্গ শুদ্ধ রাখা কঠিন। এই জন্যই প্রথম ও শেষ তীর্থংকর পঞ্চম ধর্মের উপদেশ দেন যাতে সমস্ত কিছু তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু মধ্যবর্তী সময়ের মানুষের এর প্রয়ােজন হয় না । তারা সরল ও চতুর হয় বলে সহজেই ধর্মতত্বের উপদেশ বুঝতে পারে ও তা পালন করতে সমর্থ হয় এজন্য মধ্যবর্তী তীর্থংকয়ে চতুর্যাম ধর্মের উপদেশ দেন। ব্রহ্মচর্য যে অপরিগ্রহ পালন করে তার অবশ্যই পালনীয় তা পৃথক করে বলতে হয় না।
কেশী বললেন, গৌতম, আপনাকে ধন্যবাদ। আমার সংশয় দূর হয়েছে, আমার দ্বিতীয় সংশয় এখন উপস্থিত করি। ভগবান বর্ধমান অচেক থাকেন ও তার বহু শিষ্যও অচেলক থাকে। কিন্তু মহাযশস্বী পানা সচেলক ধর্মের উপদেশ দিয়েছেন। এই প্রভেদের কারণ কি?
গৌতম বললেন, কেশী, ধর্মের সাধনা জ্ঞানের সঙ্গে সম্বন্ধান্বিত, হৰেশ বা চিহ্নের ওপর নয়। ৰাহ ৰেশ ও চিহ্ন ত পরিচয় ও সংযম নির্বাহের । তাই কেউ যদি নির্বত্র থাকে কি তাতে কিছু যায় আসে না। নির্বস্ত্র হলেই মােক হৰে সৰ হলে হবে না এমনও নয়। তবু গৰান ৰধমান যে অচেলক কেন ৰা আঁর এমন সম্প্রদায়ের একটা অংশ অচেক থাকে তার কারণ এ কালের মানুষ জড়বুদ্ধিৰলে