________________
তীর্থংকর গৌতম, কে সেই সূর্য।
কেশ, বিগত-তৃষ্ণ সর্বজ্ঞ তীর্থংকরই সেই সূর্য। সেই সূর্য উদিত হয়েছে।
ভগবান বর্ধমানই সেই সূর্য।
গৌতম ও কেশীকুমারের এই বার্তালাপের প্রভাব পড়ল সকলের মনে। পাশ্বাপত্য ও বর্ধমানের অনুযায়ী শ্রমণদের মনের সংশয় ও শ গলে গলে গেল। তারা পরস্পরের আরও নিকটে এল। তারপর এক সময় এই দুই সম্প্রদায় এক হয়ে গেল।
বর্ধমানও ওদিকে ততদিনে নানাস্থানে এজন করে শ্রাবন্তী এসে উপস্থিত হলেন তারপর সেখানে কিছুকাল বাস করে পাঞ্চালের দিকে চলে গেলেন। পাঞ্চাল হতে এলেন কুরুতে। কুরুদেশের রাজধানী হস্তিনাপুরের সহস্রাবন উদ্যানে তিনি অবস্থান করলেন। | গৌতম একদিন ভিক্ষাচর্ষায় গিয়ে শিব রাজর্ষির কথা শুনে এলেন যিনি কিছুদিন আগে রাজ্য পরিত্যাগ করে তাপস ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এখন তার বি জ্ঞান হওয়ায় সাত দ্বীপ ও সাত সমুদ্র পর্যন্ত তিনি দেখতে পান। সেই বিভঙ্গ জ্ঞানে তিনি এখন বলতে আরম্ভ করলেন সংসারে মাত্র সাতটি দ্বীপ ও সাতটি সমুদ্রই রয়েছে।
| গৌতম সেকথা শুনে এসে বর্ধমানকে জিজ্ঞাসা করলেন, তগৰ, শিব রাজর্ষির কথা কি সত্য?
বর্ধমান বললেন, শিষ রাজর্ষি কথা সত্য নয়। সংসারে অসংখ্য প ও সমুদ্র রয়েছে। | লােক মুখে ৰধমানের উক্তি শিৰ ৰাজর্ষি কানে গিয়ে গেল। ৰমান সৰ তীৰ্থক সে। তিনি জানতেন। তাঁর প্রতি তাঁর এ ছিল। তাই নিজের জ্ঞান সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে হতিনাপুৱে
কে দিয়ে সহায়ৰনে মন যেখানে যান ছিলেন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলেন।