________________
তীর্থংকর
১৭৩
কাম্পিল্যপুরে অস্মড় নামে এক ব্রাহ্মণ পরিব্রাজক থাকেন। তাঁর সাত শ' জন শিষ্য ছিল I
কাম্পিল্যপুরে ইন্দ্রভৃতি গৌতম একদিন শুনে এলেন যে অন্মড় একই সময়ে এক শ' ঘরে আহার গ্রহণ করেন। সেকথা শুনে তাঁর মনে শঙ্কা উৎপন্ন হল। তিনি বর্ধমানের কাছে গিয়ে বললেন, ভগ, অন্মড় সম্বন্ধে লোকে যা বলে তাকি সত্যি ? জন্মড় কি একই সময়ে কাম্পিল্যপুরের একশ' ঘরে অবস্থান ও একশ' ঘরে আহার গ্রহণ করতে পারে ?
বৰ্ধমান বললেন, হ্যাঁ, গৌতম, পারে । ভগবন্, সে কি রকম ?
গৌতম, অন্মড় বিনীত ও তপঃপরায়ণ । সেই তপস্যার প্রভাবে সে ৰীর্ষলব্ধি, ৰৈক্ৰিয়লব্ধি ও অবধিজ্ঞানলব্ধি লাভ করেছে। এই সব লব্ধির প্রভাবে সে একশ' রূপ ধারণ করে একশ' ঘরে আহার করে লোকদের চমৎকৃত করছে।
ভগবন্, সে কি আপনার শিষ্যত্ব গ্রহণ করবার যোগ্যতা রাখে ? সে কি নিগ্রন্থ ধর্ম গ্রহণ করবে ?
না, গৌতম, সে আমার শ্রমণ শিষ্য হবার যোগ্যতা রাখে না । কাম্পিল্যপুর হতে প্রব্ৰজন করে বর্ধমান আবার বিদেহ ভূমিতে ফিরে এলেন। সেই বছরের বর্ষাবাসও তিনি ৰাণিজ্য গ্রামে ব্যতীত করলেন।
॥ 20 ॥
বর্ষাকাল শেষ হলে তিনি কাশী ও কোশলের দিকে প্ৰস্থান করলেন কিন্তু বর্ষার আগে আবার বাণিজ্য গ্রামে ফিরে এলেন ও বাণিজ্যগ্রামের বাইরের দূতিপলাশ চৈত্যে অবস্থান করলেন।
একদিন দুর্ভিপলাশ চৈত্যে পাৰ্শ্বাপত্য শ্রমণ গাঙ্গের এলেন। এসে নারক, জীবন, সমুদ্র ও দেবতা এই চতুর্বিধ জীৰ সম্পর্কে নানা
*