________________
তীর্থংকর
আজীবিক সম্প্রদায়ের শ্রাবকেরা সে উত্তর শুনে নিরুত্তর হয়ে গেল। বর্ধমান সেই বর্ষাবাস রাজগৃহেই ব্যতীত করলেন।
১৭১
॥ ১৮ ॥
তারপর পৃষ্ঠচম্পা হরে চম্পায় এলেন। চম্পা হতে দশার্ণপুর হয়ে তিনি আবার বাণিজ্যগ্রামে ফিরে গেলেন ।
বাণিজ্য গ্রামে সোমিল নামে এক ব্রাহ্মণ থাকেন। তিনি যেমন ধনী ছিলেন তেমনি বেদাদি শাস্ত্রে পারগত ।
বর্ধমানের আসার সংবাদ পেয়ে তিনি মনে মনে ভাবলেন, যাই, ওঁর কাছে গিয়ে কিছু শাস্ত্রার্থ করি। তিনি যদি যথাযথ প্রত্যুত্তর দিতে পারেন তবে তাঁর পর্যুপাসনা করব । নইলে তাঁকে নিরুত্তর করে দিয়ে ফিরে আসব ।
সোমিল তাই তাঁর ৫০০ জন শিষ্যের মধ্য হতে ১০০ জন বাছা বাছা শিষ্য নিয়ে বর্ধমানের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন ও তাঁকে বন্দনা করে তাঁর হতে খানিক দূরে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ভগবন্, আপনার সিদ্ধান্তে কি যাত্রা, যাপনীয়, অব্যাবাধ ও প্রাক বিহার আছে ?
বর্ধমান বললেন, হ্যাঁ সোমিল, আমার সিদ্ধান্তে যাত্রা, যাপনীয়, ও প্রান্থক বিহার আছে।
সোমিল বললেন, ভগবন্, আপনার যাত্রা কি ?
বৰ্ধমান বললেন, তপ, নিয়ম, সংযম, স্বাধ্যায়, ধ্যান ও আবশ্যকাদি যোগে উদ্যম আমার যাত্রা ।
ভগবন্, আপনার যাপনীয় কি ?
মোমিল, যাপনীয় হুইপ্রকার, এক ইন্দ্রিয় বাপনীয়, হুই ন-ইন্দ্রিয় যাপনীয়। চোখ, কান, নাক, জিভ ও ত্বক এই পাঁচ ইন্দ্রিয়কে আমি বশীভূত রাখি। এই আমার ইন্দ্রিয় বাপনীয় । আর ক্রোধ, মান, মায়া ও লোভ আমার হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তাদের প্রাদুর্ভাব হয় না । তা আমার ন-ইজির যাপনীয়।