________________
বর্ধমান মহাবীর
বর্ধমান তাঁর সংশয় নিরসন করে নির্গ্রন্থ ধর্মের উপদেশ দিলেন। সেই উপদেশে আকৃষ্ট হয়ে শিব রাজর্ষি বর্ধমানের কাছে শ্রমণ দীক্ষা গ্রহণ করলেন।
১৭.
বর্ধমান হস্তিনাপুর হতে গেলেন মোকায় । মোকা হতে আবার ফিরে গেলেন বাণিজ্য গ্রামে । সেই বছরের চাতুর্মাস্য ৰাণিজ্যগ্রামেই ব্যতীত করলেন।
11 39 11
চাতুর্মাস্য শেষে বাণিজ্যগ্রাম হতে বর্ধমান গেলেন রাজগৃহে । রাজগৃহে গুণশীল চৈত্যে অবস্থান করলেন ।
রাজগৃহে নিগ্ৰন্থ শ্রাৰক সংখ্যা অধিক হলেও অন্যতীতিক শ্রাবকেরাও থাকে। তারা সময়ে সময়ে এমন সব প্রশ্ন উপস্থিত করে যাতে অন্য সম্প্রদায়কে নীচু হতে হয়। একবার আজীবিক সম্প্রদায়ের শ্রমণোপাশকেরা গৌতমকে প্রশ্ন করল, ভগবন্, আপনাদের শ্রাবক যখন সামায়িক করে তখন যদি তার বাসন-কোসন ঘটি-বাটি কেউ চুরি করে নিয়ে যায় তবে কি সামায়িক শেষে সে তাদের খোঁজ করবে ? যদি করে তবে কি সে তার নিজের প্রব্যের খোঁজ করে না অন্যের দ্রব্যের ?
তাৎপর্য এই যে সামায়িক নেবার সময় প্রত্যাখ্যানে সমস্ত বিষয় পরিত্যাগ করে সমভাবী হয়ে সে অবস্থান করে। সেই সময় তার জিনিস তার থাকে না। তাই সেই সময় যদি কেউ চুরি করে তৰে তার জিনিস চুরি করেছে সেকথা বলা যায় না ।
প্রশ্নটি কূট। কিন্তু বৰ্ধমান তার এভাবে সমাধান দিলেন । ব্রতী দশায় সে প্রত্যাখ্যান করলেও সেই বিষয়ে তার সম্পুর্ণ মমত্ব যার না । সেই জন্য সেই বিষয়ও অন্তের হয়ে যায় না। তাই সামারিক শেষে যদি সে সেই বিষয়ের তবে সে নিজের বিষয়েরই খোজ করে, অন্যের নয়।
•