________________
১৬৮
বর্ধমান মহাবীর অপরিহ বলতে যে সত্যাগ তা ৰােৰায় । তিনি কি আৰায় বলেন নি, বস্ত্রাদি মূল পদার্থ রাখা পরিগ্রহ নয়, পরিগ্রহ তাতে আসক্তি। সংযমী পুরুষের বাদি উপকরণ নেওয়া বা রাখায় মমত্ব নেই। সে ত দুয়ে নিজের শরীরে পর্যন্ত তাদের মমত্ব থাকে না। | কে বললেন, সাধু! সাধু! আমার এ সংশয়ও দূর হয়েছে। কিন্তু আমি আপনাকে আরও কিছু প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করি। | গৌতম বললেন, কেশী, আপনি তা স্বচ্ছন্দে করতে পারেন।
কেশী বললেন, গৌতম, আপনি হাজার হাজার ক্রয় মধ্যে বাস করেন। এবং তারা সর্বদাই আপনাকে অভিভূত করবার চেষ্টা করছে। আপনি তাদের কিভাবে নিজিত করে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেন।
গৌতম বললেন, কেশী, আমি প্রথমে একজন শত্রুকে নির্মিত করি। একজন শত্রুকে নিৰ্জিত করলে পাঁচজন শত্ৰু নির্মিত হয়। পাঁচজন শত্ৰু নিজিত হলে দশজন শত্ৰু নির্জিত হয়। দশজন শত্রু নির্মিত হলে সমস্ত শত্ৰুই নির্জিত হয়।
কে বললেন, সেই শত্রু কারা ?
গৌতম বললেন, কেশী, মনই প্রথম ও প্রধান শত্রু। তাকে জয় করলে ক্রোধ, মান, মায়া ও লেত এই পাঁচ শত্রু হিত হয়। এই পাঁচ শত্রু জিত হলে এই পাঁচ ও পাঁচ ইন্দ্রিয় সহ দশ শক্ত জিত হয়। দশ শক্ত জিত হলে সমস্ত শক্তই জিত হয়। এভাৰে সমস্ত শত্রুকে পরাজিত করে আমি স্বচ্ছন্দ বিচরণ করি।
এভাবে কেশী গৌতমকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে চললেন আর গৌতম তার প্রতুত্তর দিতে লাগলেন। সমস্ত দিন ধরে প্রশ্নোত্তর চলল। | এক সময় কে বললেন, গৌতম, সংসারে সমস্ত জীবই ৰখন গাঢ় অন্ধকারে মগ্ন তখন কে তাদের পথ দেখাবে, আলাে দেবে।
গৌতম বললেন, কেশ, সমস্ত সংলাকে আলাে প্রদানকারী সূৰ উদিত হয়েছে। সেই দুই সন্ত প্রাণীকে না দেখাৰে, আলো দেবে।