________________
১৬৪
বর্ধমান মহাবীর | জমালির মুখে আত্মশ্লাঘার সেই উক্তি গুনে বর্ধমানের এম ও প্রধান শিষ গৌতম মালিকে সম্বােধন করে বললেন, মালি, কেবল জ্ঞান ও দর্শনকে তুমি কি ভেবে রেখেছ? সে সেই জ্যোতি যা লােক ও অলােকে পরিব্যাপ্ত হয়ে যায়, সমুদ্র নদী পর্বত কিছুতেই বা ব্যাহত হয় না। মহানুভব, যার মধ্যে সেই দিব্য জ্যোতির প্রাদুর্ভাব হয় সেই আত্মা কখনাে গােপন থাকে না। কিন্তু এ নিয়ে অধিক কথা বলে কি লাভ? আমি তােমায় দুটি প্রশ্ন করছি তুমি তার এত্যুত্তর দাও। লোেক শাশ্বত না অশাশ্বত। জীব শাশ্বত না
জমালি এর প্রত্যুত্তর দিতে পারলেন না। চুপ করে দাড়িয়ে রইলেন।
বর্ধমান তখন তাকে সম্বােধন করে বললেন, মালি, আমার এমন অনেক শিষ্য রয়েছে যারা ছদ্মস্থ হয়েও এর উত্তর দিতে পারে কিন্তু তারা কেবলী হবার দাবি করে না। দেবানুপ্রিয়, কেবল-জ্ঞান এমন কোনাে বস্তু নয় যার অস্তিত্ব বােঝাবার জন্য কেবলীকে নিজের মুখে সে কথা বলতে হয়।
অমালি, লোক শাশ্বত কারণ তা অনন্তকাল পূর্বেও ছিল, এখনাে আছে এবং ভবিষ্যতেও অনন্তকাল থাকবে। | অন্য অপেক্ষায় তােক অশাশ্বত। কাল রূপে উৎসর্পিণী চলে যায়, , অবসপিণী আসে, অবসর্পণী চলে যায় উৎসর্পিণী আসে। এভাবে অন্য যে লােকাত্মক দ্রব্য রয়েছে তাতে অথবা তার অবয়বে পর্যায়ের পরিবর্তিত হতে থাকে, তাই তােক অশাশ্বত।
| এভাবে জীব শাশ্বত আর অশখতও। শাশ্বত কারণ তা গ্রিকালৰতী, অশাশ্বত কারণ পর্যায়কাপে তা নিত্য পরিবর্তনশীল। অনেক পর্যায়ের উৎপাদ ও ব্যয়ের অপেক্ষায় জীৰ অশাশ্বত।
এভাৰে ৰধমান মালিকে অনেক ৰােঝালেন কিন্তু অলি নিজের আত্মহ পরিত্যাগ করলেন না। শেষে তিনি বর্ধমানের এক হতে নিজেকে পৃথক করে নিলেন।