________________
তীর্থংকর
তখন সিংহ সেখানে আর থাকতে পারল না । সেখান হতে বেরিয়ে বর্ধমানের কাছে যাবার জন্য কচ্ছের মধ্যভাগ দিয়ে মেঢ়িয় গ্রামের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল । কিন্তু বেশীদূর সে যেতে পারল না। আবেগ ও দুশ্চিন্তায় তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল । সে পথের মাঝখানে দাড়িয়ে কাঁদতে লাগল ।
মে ঢ়িয় গ্রামে বসে বর্ধমান সিংহের মনোভাব জানতে পারলেন 1 তিনি তখন শ্রমণদের সম্বোধন করে বললেন, আয়ুষ্মন্, শ্রমণ সিংহ আমার ব্যাধির জন্ম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে মালুকা কচ্ছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে । তোমরা যাও ও তাকে আমার কাছে নিয়ে এস ।
১৬১
শ্রমণেরা তখন সিংহের কাছে গেল । বলল, সিংহ তোমায় দেবার্য ডাকছেন ।
সি হ তখন শ্রমণদের সঙ্গে সালকোষ্ঠক চৈত্যে বৰ্ধমান যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে এল ও তাঁকে প্রদক্ষিণা ও বন্দনা করে তাঁর সামনে দাড়াল ।
বর্ধমান তখন সস্নেহ সুস্মিত হাসি হেসে বললেন, সিংহ, তুমি আমার ভাবী অনিষ্ট চিন্তা করে কেঁদে ফেলেছিলে ?
সিংহ বলল, হ্যাঁ, ভগবন্ । আজ যখন ছ'মাস পূর্ণ হতে চলেছে তখন গোশালকের কথা মনে করে আমি ব্যাকুল হয়ে পড়ে ছিলাম । বর্ধমান বললেন, সিংহ, এ বিষয়ে তোমার কোনো চিন্তা করা উচিত নয় । এখনো আমি সাড়ে পনেরো বছর এই সংসারে সুখে বিচরণ করব।
আপনার কথা যেন সত্যি হয়—আবেগে সিংহ বলে উঠল। ভৰে আপনাকে রোগগ্রস্ত দেখলে আমাদের কষ্ট হয়। আপনার এই ব্যাধি দূর করবার কি কোনো উপায় নেই ?
বর্ধমান বললেন, কেন থাকবে না। ৰস, তোমার যদি তাই ইচ্ছা তবে মেঢ়িয়গ্রামে গাধাপত্নী রেবতীর কাছে যাও । সে কুমড়ো ও ৰাতাৰি লেবু দিয়ে দুটো ওষুধ তৈরী করেছে তার প্রথমটি আমার জন্য, দ্বিতীয়টি অন্য প্রয়োজনে। প্রথমটির আমার
১১