________________
১৫৪
বর্ধমান মহাবীর
আনন্দ সামনে গিয়ে দাড়াতেই গােশালক বললেন, আনন্দ তােমায় একটি গল্প বলি শােন। সে অনেক কাল আগের কথা। একদল বণিক গরুর গাড়ীতে মাল বােঝাই করে বিদেশে বাণিজ্য করতে যাচ্ছিল। বনের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় এক সময় তাদের পথ হারিয়ে গেল। তারা বন হতে মহাৰনে গিয়ে পড়ল। সেই মহাবনের যেন আর শেষ নেই। তারপর মহাৰনে অনেক দিন ব্যতীত হওয়ায় তাদের সঙ্গে যে খাবার জল ছিল সেই জলও ফুরিয়ে গেল। তখন তারা সেই মহাৰনে জলের সন্ধান করতে লাগল। সন্ধান করতে করতে তারা এক নিম্নভূমিতে গিয়ে পড়ল। সেখানে অল ছিল না তবে চারটি এলার্জ বল্মীক ছিল। বল্মীক জলার্জ থাকায় জল পাওয়া যেতে পারে ভেবে তারা প্রথম বল্মীক ভেঙে ফেলল। ভাঙতেই তার নীচে স্বচ্ছ জল পাওয়া গেল। সেই জল তারা আঁজলা ভরে পান করল ও সেই জলে তাদের জলপাত্রগুলােও ভরে নিল। বণিকেরা তখন ভাবতে লাগল যে প্রথম বল্মীকের নীচে যখন জল পাওয়া গেছে তখন অন্য বল্মীকের নীচে না জানি কি পাওয়া যেতে পারে। তখন তারা দ্বিতীয় বল্মীক ভাঙতে গেল। বণিকদের মধ্যে সুবুদ্ধি নামে এক বণিক ছিল। সে কিন্তু সেই লােভীবণিকদের নিরস্ত করবার জন্য বলল, আমাদের কাজ যখন হয়ে গেছে তখন অন্য বল্মীক ভাঙার কি প্রয়ােজন। কিন্তু লােভী বণিকেরা তার কথা শুনল না। দ্বিতীয় বল্মীটিও ভেঙে ফেলল। বল্মীকটি ভাঙতেই তার নীচে শােনা পাওয়া গেল। তখন তাদের লােভ আরও বেড়ে গেল। দ্বিতীয়টিতে যখন সােনা পাওয়া গেছে তখন তৃতীয়টিতে নিশ্চয়ই মণি-রত্ন পাওয়া যাবে। সুবুদ্ধি আবারও নিষেধ করল কিন্তু তার কথা কেউ কানে নিল না। তৃতীয় বল্মীটি ভাঙতেই সত্যি মণি-ত্ব বেরিয়ে এল। তখন তারা চতুর্থ বল্মীকটি ভাঙতে গেল। ভাৰ, এতে হীরে-পান্না পাওয়া যাবে। সুবুদ্ধি আবারও নিষেধ করল। বলল, অতি লােত ভালাে নয়, যা পেয়েই তাইতেই স থাক। কে জানে এ হতে হীরে-পারার পরিবর্তে যদি সাপ বেরিয়ে