________________
তীর্থংকর
শ্রাবস্তীতে ব্যতীত করেছিলেন। এই শ্রাবস্তীতেই তিনি তেজোলেখা লাভ করেন ও নিমিত্ত শাস্ত্র অধ্যয়ন করে নিজেকে তীর্থংকর বলে প্রচারিত করে দেন ।
শ্রাবস্তীতে গোশালকের দু'জন ভক্ত ছিলেন। এক, কুমোর পত্নী হালাহলা, দুই গাধাপতি অয়ংপুল। গোশালক সাধারণতঃ হালাহলার ভাগুশালাতেই অবস্থান করতেন ।
১৫৩
বর্ধমানের দীক্ষা গ্রহণের প্রায় দু'বছর পর গোশালক বর্ধমানের সঙ্গ নেন ও প্রায় ছয় বছর তাঁর সঙ্গে থাকেন । তারপর বর্ধমান হতে পৃথক স্বতন্ত্র আজীবিক মতের প্রতিষ্ঠা করেন ।
গোশালক যতদিন বর্ধমানের সঙ্গে ছিলেন ততদিন তিনি তাঁর প্রতি ভক্তিভাবাপন্ন ছিলেন। অন্যে বর্ধমানের সম্বন্ধে কিছু বললে তিনি তা সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু এখন আর তিনি সেই গোশালক নন তাঁর অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। এখন তিনি আজীবিক সম্প্রদায়ের নেতা ও তীর্থংকর । তাই বর্ধমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ।
ইন্দ্রভূতি সেদিন ভিক্ষাচর্যায় গিয়ে শুনে এলেন শ্রাবস্তীতে এখন দুই জন তীর্থংকর বিচরণ করছেন। এক, শ্রমণ বর্ধমান, দুই আজীবিক গোশালক। তিনি এসেই সে কথা বর্ধমানকে বললেন। বললেন, ভগবন্, গোশালক কি সত্যই সর্বজ্ঞ তীর্থংকর ?
না, গৌতম। গোশালক নিজেকে সর্বজ্ঞ তীর্থংকর বলে বলে বেড়ালেও সে তীর্থংকর নয়। প্রথম দিকে সে আমার সঙ্গে ছিল। পরে স্বতন্ত্র হয়ে স্বচ্ছন্দ বিহার করছে।
বর্ধমানের সেই প্রত্যুত্তর সেখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা শুনলেন। তাঁরা ঘরে ফেরার পথে সে নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলেন। ক্রমে সে কথা গোশালকের কানে গিয়ে উঠল। বর্ধমান বলেছেন, গোপালক সর্বজ্ঞ তীর্থংকর নয়।
বর্ধমান শিষ্য আনন্দ সেদিন ভিক্ষাচর্যার হালাহলার বাড়ীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। দূর হতে তাঁকে দেখতে পেরে গোশালক ডাক দিয়ে বললেন, শোনো আনন্দ, তোমার একটা কথা বলি ।