Book Title: Vardhaman Mahavira
Author(s): Ganesh Lalwani
Publisher: Ganesh Lalwani

View full book text
Previous | Next

Page 143
________________ ১০ তীর্থংকর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর সেই বুনাে হাতী আৰু মুনিকে হয় গড়ে করে জড়িয়ে দূরে ফেলে দেবে, নয়ত পিপড়ের মত পায়ের তলায় পিসে মারবে। কিন্তু কি আশ্চর্য! হাতী তার কিছুই করল না। আত্রকের কাছে এসে বিনীত শিষের মত মাথা নীচু করে তাঁর পায়ে প্রণাম করল। তারপর অরণ্যের দিকে ছুটে গেল। মুহূর্তে সেকথা সবখানে ছড়িয়ে পড়ল। আন্ত্ৰক বুনাে হাতীকে বশ করেছেন। আশ্চর্য তার লব্ধি! আশ্চর্য তাঁর সিদ্ধি! সেকথা মহারাজ শ্রেণিকেরও কানে উঠল। তিনি আর্লককে দেখতে এলেন। কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করলেন হাতী কেন শেকল ছিড়ে কে প্রণাম করে অরণ্যের গভীরতায় চলে গেল। | শুনে আর্জক বললেন মহারা, লােহার শেকল ভাঙা এমন কি আর শক্ত—যত শক্ত কঁচা সুতাের বাঁধন ঘেঁড়া। আমাকে সেই কাঁচা সুতাের বাঁধন ছিড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে সে তার লােহার শেকল ভেঙে আমায় প্রণাম করে অরণ্যের অবাধ জীবনে ফিরে গেল। শ্রেণিক আৰ্ত্তকের কথার তাৎপর্য ঠিক ধরতে পারলেন না। তাই তাঁর মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। আর্ভক বললেন, মহারাজ, সে অনেক কাল আগের কথা। আমি অনার্য রাজপুত্র। আপনার পুত্র অভয়কুমার ঋষভদেবের একটি ছােট্ট সােনায় প্রতিমা আমায় উপহার পাঠান। সেই প্রতিমা দেখতে দেখতে আমার পূর্বজন্মের স্মৃতি মনে পড়ে যায় ও শ্ৰমণ দীক্ষা নেবার অ আমি তারতবর্ষে আসি। এখানে এসে আমি শ্ৰমণ দীক্ষা গ্রহণ করি ও নানা স্থান প্ৰব্ৰজন করতে থাকি। এমনি প্ৰব্ৰজন করতে করতে একবার আমি বসন্তপুরে আসি। বসন্তপুরে এসে আমি যখন নগর উদ্যানে বসে ধ্যান করছি তখন সেখানে তার সঙ্গিনীদের নিয়ে শ্ৰেষ্ঠীয় মেয়ে খেলা করতে এল। খেলাচ্ছলেই সে সেদিন আমায় বরণ কমল। তারপর ঘরে চলে গেল। তারপর অনেককাল পরের কথা। মেয়েটি যখন বড় হল শ্রেষ্ঠ যখন তার বিবাহের উদ্যোগ করলেন, মেয়েটি তখন তার বাবাকে গিয়ে

Loading...

Page Navigation
1 ... 141 142 143 144 145 146 147 148 149 150 151 152 153 154 155 156 157 158 159 160 161 162 163 164 165 166 167 168 169 170 171 172 173 174 175 176 177 178 179 180 181 182 183 184 185 186 187 188 189 190 191 192 193 194 195 196 197 198 199 200 201 202 203 204 205 206 207