________________
বর্ধমান মহাবীর বললেন, ভগ, আমি সংসারের অসারতা উপলব্ধি করেছি। এর প্রতি আমার আর কোনাে মােহ নেই। জন্ম, এরা ও মৃত্যুর দুঃখ হতে মুক্তি পাবার জন্য আমি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করে সাধ্বী সজে প্রবেশ করতে চাই। ভগবন, আপনি আমায় গ্রহণ করুন।
বর্ধমান বললেন, দেবানুপ্রিয়ে, তােমার যেমন অভিরুচি।
প্রদ্যোত অপলক দৃষ্টিতে মৃগাবতীর দিকে তাকিয়ে ছিলেন আর ভাবছিলেন : এই নারী কি সেই মৃগাৰতী যার ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি উজ্জয়িনী হতে কৌশাম্বী ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু এ রূপ ত মােহ উৎপন্ন করে না। বরং ত্যাগ ও বৈরাগ্য ভাবের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমেরই উদ্ভব করে।
বস্তুতঃ বর্ধমানের সান্নিধ্যে তাঁর অন্তরেও এক বিরাট পরিবর্তন সংসাধিত হয়েছিল। তাই এতদিনের উৎকট কামনা তাঁর কাছে এম ও অন্যায় বলেই মনে হতে লাগল। চণ্ডপ্রদ্যোত তাই মৃগাৰতীয় সাধ্বী ধর্ম গ্রহণে কোনাে বাধাই দিলেন না। বরং পরদিন সকালে কৌশাম্বীতে প্রবেশ করে উদয়নকে সিংহাসনে বসিয়ে উজ্জয়িনীতে ফিরে গেলেন ও বলে গেলেন কেউ যদি কৌশাম্বী আক্রমণ করে তবে যেন তাকে খবর দেওয়া হয়। তাহলে তিনি সসৈঙ্গে তখনি এসে কৌশাখী রক্ষা করবেন।
| এভাবে মৃগাৰতীয় জীবনই রক্ষা পেল না, আর্যা চন্দনার সান্নিধ্যে তিনি কঠোর সংযম ও তপস্যাচরণ করে অচিরেই মুক্তি লাভ করলেন। | বর্ধমান মৃগাৰতীকে দীক্ষিত করবার পর কিছুকাল কৌশাম্বীতে অবস্থান করলেন তারপর বিদেহভূমির দিকে গমন করলেন। সেই বর্ষাবাস তিনি বৈশালীতেই ব্যতীত করবেন।
বর্ধমান বর্ষাবাস শেষ হলে মিথিলার দিকে গমন করলেন। সেখান হতে আর কাকলীতে ফিরে এলেন।