________________
১৩৭
তীর্থংকর মৃগাৰতী এই বলে থামলেন। সময় সভা তখন বিস্মিত ও স্তম্ভিত। সকলেই মৃগাবতীর বুদ্ধি ও চাতুর্যের, শীল ও সাহসের প্রশংসা করলেন কিন্তু সত্যিই কি মহারাণীর মৃত্যু ছাড়া এ সমস্যা সমাধানের আর কোনাে উপায় নেই। মহারাণীর আত্মহত্যার কথা তাঁরা ভাবতেই পারেন না
অনেকক্ষণ সভা নিস্তব্ধ রইল। তারপর একজন নাগরিক সহসা উঠে দাড়াল ও মুগাবতীকে সম্বােধন করে বলতে লাগল, মহারাণী, আত্মহত্যা সব সময়েই পাপ। আমার তাই মনে হয় যে আপনি যদি ভগবান বর্ধমানের সাধ্বী সম্প্রদায়ে দীক্ষা গ্রহণ করেন তবে উভয় দিক রক্ষা পায়।
কথাটা সকলেরই মনঃপুত হল। মৃগাৰতীরও। কিন্তু কালই তিনি কি করে বর্ধমানের সাধ্বী সম্ভে প্রবেশ করবেন। তিনি এখন কোথায় অবস্থান করছেন। তাঁর কাছে কীভাবে যাওয়া যায় ?—ইত্যাদি বিষয় বিচার্য হয়ে উঠল। সভা পরদিনের জন্য স্থগিত রাখা হল।
কিন্তু পরদিন ভাের হতে না হতেই সংবাদ এল বর্ধমান কৌশাম্বীর উপস্থিত চন্দ্রাবতরণ চৈত্যে এসে অবস্থান করছেন। তখন মৃগাবতী তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে বর্ধমানের দর্শন ও বন্দনা করবার জন্য চন্দ্রাবতরণ চৈত্যে গিয়ে উপস্থিত হলেন। | ওদিকে চণ্ডপ্রদ্যোতও বর্ধমানের আসার খবর পেয়ে চন্দ্রাবতরণ চৈত্যে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন।
বর্ধমান সেই সভায় আত্মার অমরত্ব, কর্মের বন্ধন, সংসারের অসারতা, জন্ম মৃত্যুর দুঃখ, অহিংসা, সংযম ও তপস্যায় সেই দুঃখ হতে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা ওজস্বিনী ও মর্মস্পর্শী ভাষায় বিবৃত করলেন। জনতা তা মন্ত্রমুগ্ধের মত শ্ৰৰণ করল। সেই সময়ের এ নয় মন হতে যেন রাগমোদি তাৰ একেবারে দূর হয়ে গিয়েছিল।
বর্ধমান যখন তাঁর উপদেশ শেষ করলেন তখন মৃগাৰতী উঠে দাড়ালেন, তারপর বর্ধমানকে তিনবার প্রদক্ষিণ ও প্রণাম করে