________________
১৬
বর্ধমান মহাবীর সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রাকার নির্মাণ করা হয়েছে। পরিখা খনন করা হয়েছে সৈন্যদল বৃদ্ধি করা হয়েছে, যুদ্ধসম্ভার সংগ্রহ করা হয়েছে। নগরী পরিবেষ্টিত হলে দু’তিন বছর অবরােধের সম্মুখীন হতেও তা সমর্থ। এবং এও আপনারা জানেন যে এই সমস্ত কাজ উজ্জয়িনীর চণ্ডপ্রদ্যোতের সাহায্যে সম্পন্ন হয়েছে। চণ্ডপ্রদ্যোত আমার স্বামীর মৃত্যুর সময় কৌশাম্মী আক্রমণ করতে এসেছিলেন। তার পরিবর্তে কৌশাম্বীকে অভেদ্য করে দিয়েছেন। এ আপনাদের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হতে পারে এবং সেইজন্যই আমি আজ আপনাদের এখানে আহ্বান করেছি। এবং এও হয়ত আপনাদের অবিদিত নেই যে চণ্ডপ্রদ্যোতের কৌশাম্বী আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিলাম আমি। মহারাজ তখন বিগত হয়েছেন, আর কুমার উদয়ন তখন নাবালক। সেই অবস্থায় কূটনীতির আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আমার আর উপায়ান্তর ছিল না। তাই চণ্ডপ্রদ্যোতকে আমি গােপনে বলে পাঠালাম যে আমি তাঁর সঙ্গে উজ্জয়িনী যেতে প্রস্তুত আছি কিন্তু তার আগে কৌশাম্বীকে সুরক্ষিত করে দিয়ে যেতে চাই যাতে উদয়ন কোনাে বিপদের সম্মুখীন না হয়। চণ্ডপ্রদ্যোত আমার কথায় বিশ্বাস করে নগরীকে সুরক্ষিত করে দিয়েছেন। এখন তিনি অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। আগামী কালই তাঁর কাছে আমার যাবার শেষ দিন।
মৃগাবতী একটু থামতেই সভায় একটা গুঞ্জন উঠল। মৃগাবতী তখন আবার বলতে লাগলেন, আপনারা যুদ্ধের কথা ভাবছেন। চণ্ডএগােতের সঙ্গে যুদ্ধ করা বাতুলতা। তাতে উভয় পক্ষের লােক কয় হবে কিন্তু আপনারা আমাকে রক্ষা করতে পারবেন না। এর একমাত্র যে উপায় আছে তা আমি ভেবে রেখেছি এবং সেই কাজ করবার জন্যই আমি আপনাদের এখানে আহ্বান করেছি। আমি হৈয় বংশীয় ক্ষত্রিয় কন্যা ও মহাৱাত শতানীকের মত ত্রিয়ের মহিষী। আমি চণ্ডপ্রদ্যোতের অশায়িনী হৰ তা কখনাে সম্ভব নয়। কাল আপনারা আমার মৃতদেহ চণ্ডএগােতের কাছে নিয়ে যাবেন আর আমার আয় আমার গত মীর কাছে গমন কৰে।