________________
বর্ধমান মহাবীর সন্দালপুত্র বর্ধমানের খাবার ব্যবস্থা করে দিয়েই নিজের কাজে ব্যাপৃত হয়ে পড়ল। বর্ধমানের সৎসঙ্গ সে করল না বা তা করবার তার ইচ্ছাও ছিল না।
| কিন্তু বর্ধমান এসেছেন তাকে ভ্রান্তপথ হতে সত্যপণে তুলে নিতে। তাই তার উপেক্ষা তিনি গায়ে মাখলেন না বরং একদিন তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, সন্দালপুত্র, এই সব মাটির বাসন কি করে মৈী হল।
সন্দালপুত্র বলল, ভগব, মাটি হতে। প্রথমে মাটিকে জল দিয়ে কাদাকাদা করে নিতে হয় তারপর নাদ, ভূষি আদি মিলিয়ে দল পাকাতে হয়। সেই দলকে চাকে তুলে চাক ঘুরাতে হয়। ঘুরানােতে হাঁড়ি, কলসী, বাসনপত্র তৈরী হয়।
বর্ধমান বললেন, সন্দালপুত্র, আমি সেকথা জিজ্ঞাসা করিনি। আমার প্রশ্নের তাৎপর্য, এগুলাে কি পুরুষকারে হয়েছে না নিয়তিশে?
ভগব, নিয়তিবশে। তাছাড়া জগতের সমস্ত কিছু নিয়তিরই অধীন। যার যা নিয়তি তা না হয়ে যায় না। পুরুষ এষ সেখানে
ব্যর্থ।
সন্দালপুত্ৰ, তােমার ওই বাসন কেউ যদি ভেঙে দেয়, ফেলে দেয়, ছড়িয়ে দেয় তবে তুমি কি কর ? | ভগব, যদি তাকে ধরতে পারি ত খুৰ মারি। এমন মাৰি ৰাতে সে জীবনেও না ভােলে।
সদ্দালপুত্র, তুমি তাকে কেন মারবে? সে যদি তােমার বাসন ভেঙে দিয়ে থাকে, ফেলে দিয়ে থাকে, ছড়িয়ে দিয়ে থাকে তবে তা নিয়তিশেই ভেঙে দিয়েছে, ফেলে দিয়েছে, ছড়িয়ে দিয়েছে। তুমি ত নিজেই বললে পুরুষ পরাক্রম বলে কিছু নেই।
সন্দালপুত্র নিরুত্তর।
সন্দালপুত্র যখন বুঝতে পারল, নিয়তিবাদেয় সিদ্ধান্ত অৰ্যৰহারিক তখন সে বর্ধমানের পায়ে নতমস্তক হয়ে বলল, ভগ, আমি নির্ব এৰচন শুনৰাৰ অভিলাষী।