________________
তীর্থংকর কাকলী হতে বর্ধমান শ্রাবন্তী হয়ে কাশিন্য নগরে এলেন। কাস্পিল্য নগরে গৃহপতি কুণ্ডকোলিককে শ্ৰাৰক ধর্মে দীক্ষিত করলেন। তারপর অহিচ্ছত্রা, গজপুর হয়ে পােলাসপুর এলেন।
পােলাসপুরে তখন সদালপুত্র নামে এক ধনী কুমাের বাস করত। তার তিন কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল ও ৫০০ গরুর গােজ। তার পাঁচশ মাটির বাসনের দোকান ছিল যেখানে এক হাজার লােক কাজ করত। সদ্দাসপুত্র বর্মারাধনাও করত। তবে সে আজীবিক ধর্মাবলম্বী ছিল।
সেদিন রাত্রে সে যখন শুয়ে ছিল তখন সে একটা স্বপ্ন দেখল। দেখল কে যেন তাকে ডাক দিয়ে বলছে, সদ্দালপুল, কাল সকালে এদিক দিয়ে সর্বজ্ঞ সর্বদশী মহাব্রাহ্মণ যাবেন। তাঁর কাছে গিয়ে তােমার ঘরে থাকবার জন্য তাকে আমন্ত্রণ করাে ও তার অবস্থানের জন্য কাষ্ঠ কলকাদির ব্যবস্থা করে দিও।
সন্দালপুত্রের সেই স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেল। সে ভাবল তাহলে সকালবেলায় তার ধর্মাচার্য মংখলীপুত্র গােশালক পােলাসপুরে আসবেন। কারণ তিনি ছাড়া এ যুগে আর কে সর্বজ্ঞ, সর্বদশী ও মহাব্রাহ্মণ আছে?
সন্দালপুত্র তাই সেদিন তাড়াতাড়ি উঠে প্রাতঃকৃত্য শেষ করে মংখলীপুত্রের কাছে যাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে নিল। তারপর যখন সে ঘরের বাইরে এল তখন সে শুনল পােলাসপুরের বাইরে জ্ঞাতপুত্র শ্ৰমণ ভগবান বর্ধমান এসেছেন।
সন্দালপুত্র সেকথা শুনে হতােৎসাহ হল। মহাব্রাহ্মণকে ঘরে অবস্থানের জন্য আহবান ত দুরের তাঁর দর্শন করবার ইচ্ছাও তার শান্ত হয়ে গেল। সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল। তখন তার স্বপ্নের কথা আবার মনে হল। ভাবল তবে বর্ধমানের কাছে তার যাওয়াই উচিত। তখন সে বর্ধমানের কাছে গেল ও তঁাকে বন্দনা করে তার রে থাকবার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বর্ধমান প্রায় আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তার শালায় এসে উপস্থিত হলেন।