________________
বর্ধমান মহাবীর বলল, যে তার আর বিয়ে হতে পারে না কারণ সে একজন শ্রমণকে বরণ করেছে।
শ্রেষ্ঠ সমস্ত শুনে মেয়েকে অনেক বােঝালেন। বললেন, সে ত খেলাচ্ছলে।
কিন্তু মেয়ের সেই এক কথা, সেই শ্রমণকে ছাড়া আমি আর কাউকে বিয়ে করবাে না।
শ্ৰেষ্ঠী তখন বিপদে পড়লেন। প্রথমতঃ আমাকে কেউ চেনে না, কোথায় থাকি তাও জানে না। তার ওপর তার মেয়েকে যে আমি গ্রহণ করব তারই বা নিশ্চয়তা কী?
মেয়ে বলল, বাবা, তুমি আমায় অতিথিশালা তৈরী করিয়ে দাও। অতিথিশালায় সাধু শ্ৰমণ আনবেন। হয়ত তিনিও কোনাে দিন আসতে পারেন। তাঁর মুখ আমি দেখিনি কিন্তু তাঁর পা আমি দেখেছি। তাঁর পায়ে পদ্মচিহ্ন ছিল। সেই চিহ্ন দেখে আমি তাকে চিনতে পারব।
শ্ৰেষ্ঠীর অন্য উপায়ান্তর ছিল না। তাই মেয়ের কথা মত অতিথিশালা নির্মাণ করিয়ে দিলেন। মেয়েটি সেখানে যে সাধু শ্ৰমণ আসে তাঁদের পা ধুইয়ে দেয়।
মহারাজ, একদিন সেই অতিথিশালায় আমিও এলাম।
মেয়েটি পা থােয়াতে গিয়ে আমার পায়ে পদ্মচিহ্ন দেখে আমায় চিনতে পারল। আমি ধরা পড়ে গেলাম। | এই মেয়েটির কথা আমার মনে ছিল না কিন্তু তার মুখের দিকে চেয়ে আমার পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ে গেল। সে জন্মে সে আমার এ ছিল। স্ত্রী কিন্তু তার সঙ্গে আমার মিলনের পথ ছিল না। আমি শ্ৰমণ ছিলাম। কিন্তু এমণজীবনেও তার প্রতি আসক্তি আমি পরিত্যাগ করতে পারিনি। দেখলাম তার প্রেমের চাইতেও সেই আসক্তিই আমাকে তার দিকে দুর্নিবার বেগে টানতে লাগল।
মহারাজ, তাই মণ ধর্ম এৰায়ে পরিত্যাগ করে তাকে নিয়ে ঘর বাংলাম। সংসারী হলাম। দীর্ঘ নামাে ৰছ তার সঙ্গে এক সরে