________________
১৩২
বর্ধমান মহাবীর
ও জ্ঞানকেই মোক্ষের অঙ্গ বলে মনে করে। সংসার বিষয়েও আমাদের মতের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই । সাংখ্য দর্শনের মতে পুরুষ অব্যক্ত, মহান ও সনাতন । তার হ্রাস হয় না, না ক্ষর। তারাগণের মধ্যে যেমন চন্দ্র তেমনি সমস্ত ভূতগণের মধ্যে সেই আত্মা একই।
আর্দ্রক বললেন, আপনাদের সিদ্ধান্তানুসারে না কারু মৃত্যু হয়, না প্রধানের সংসার ভ্রমণ । একই আত্মা স্বীকার করে নিলে ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র এ বিভেদ যেমন থাকে না তেমনি পশুপাখি কীটপতঙ্গের বিভেদও । যাঁরা লোকস্থিতি না জেনে ধর্মের উপদেশ দেন তাঁরা নিজেরাও বিনষ্ট হন ও অন্যকেও নষ্ট করেন। কেবল-জ্ঞান লাভ করে সমাধিপূর্বক যিনি ধর্ম ও সম্যকত্বের উপদেশ দেন তিনি নিজের ও অন্যের আত্মাকে সংসারসাগর হতে উত্তীর্ণ করেন ।
এভাবে একদণ্ডীদের নিরুত্তর করে আর্দ্রক যেই আগে বেরিয়ে যাবেন অমনি হস্তি তাপস ঋষিরা এসে তাঁর সামনে দাঁড়ালেন । বললেন, আমরা সমস্ত বছরে একটি মাত্র হাতী হতা৷ করি এবং তারি মাংসে সমস্ত বছর জীবন ধারণ করি। এতে অন্য অনেক প্রাণীর জীবন রক্ষা হয়।
আর্দ্রক বললেন, সমস্ত বছরে একটি প্রাণী হত্যা করলেও আমি তাঁদের অহিংসক বলতে পারি না । কারণ প্রাণী হত্যা হতে আপনারা সর্বদা বিরত হননি। আপনারা যদি অহিংসক হন, তবে সংসারী জীবেরাও অহিংসক নয় কেন ? কারণ তাঁরাও প্রয়োজনের অতিরিক্ত জীব হত্যা করেন না। যাঁরা তাপস হয়ে যদিও সমস্ত বছরে একটি মাত্র জীব হত্যা করেন তবুও তাঁরা আত্ম কল্যাণ করেন না বরং নিরম্নগামী হন । যিনি ধর্ম সমাধিতে স্থির, কায়মনোবাক্যে যিনি সমস্ত প্রাণীর প্রাণ রক্ষা করেন, তিনিই যেন সংসারসমুদ্র অতিক্রম করে ধর্মের উপদেশ দেন ।
হস্তিতাপসদের নিরুত্তর করে আর্দ্রক যেমন অগ্রসর হয়েছেন অমনি হস্তিতাপসদের বন হতে সত্য ধরে আনা হাতী শেকল ছিঁড়ে তাঁর দিকে ছুটে এল । লোকের মধ্যে কোলাহল উঠল। আর