________________
তীর্থংকর
১৩১ নেই তারা অনার্যধর্মী ও সলােলুপ। এরূপ মাংস যিনি গ্রহণ করেন, পাপ কি না জানলেও, পাপেই আচরণ করেন। যিনি সত্যিকার ভিক্ষু তিনি মনেও এ ধরনের আহার ইচ্ছা করেন না, এরূপ মিথ্যা কথা বলেন না।
জ্ঞাতপুত্ৰীয় শ্রমণেরা এজন্য তাদের জন্য উদ্দিষ্ট আহার্য গ্রহণ করেন না কারণ তাঁরা সমস্ত রকম হিংসা পরিত্যাগ করেছেন। তাই যে আহারে সামান্যতম প্রাণী হিংসার সম্ভাবনা থাকে তারা সে আহার গ্রহণ করেন না। সংসারে সংষতদের ধর্ম এই প্রকার। এই আহারশুদ্ধিরূপ সমাধি ও শীলপ্রাপ্ত হয়ে বৈরাগ্যভাবে যিনি নিগ্রন্থ ধর্মের আচরণ করেন তিনি কীর্তি লাভ করেন।
শাক্য ভিক্ষুদের নিরুত্তর হতে দেখে স্নাতক ব্রাহ্মণেরা এগিয়ে এলেন। বললেন, আমাদের শাস্ত্রে রয়েছে যে, যে মােজ দু’হাজার স্নাতক ব্রাহ্মণ ভােজন করায় সে মহাপুণ্য অর্জন করে দেৰগতি লাভ
আর্জক বললেন, গৃহস্থালিতে আসক্ত দু'হাজার স্নাতক ব্রাহ্মণ ভােজন করিয়ে সে নরক গতিই উপার্জন করে। দয়াধর্মের নিন্দাকারী ও হিংসাধর্মের প্রশংসক ও দুঃশীল মানুষকে যে ভােজন করায় সে রাজা হলেই বা কি অধােগতিই প্রাপ্ত হয়।
তাছাড়া সে তাে সত্যি ব্রাহ্মণ নয়। সেই সত্যিকার ব্রাহ্মণ যার প্রাপ্তিতে আনন্দ নেই, বিয়ােগে দুঃখ বা শােক।
যে দহনােত্তীর্ণ সােনার মত নির্মল, রাগ, দ্বেষ ও তয় মহিত, সেই ব্রাহ্মণ ।।
শির মুণ্ডন কালেই যেমন মণ হয় না, তেমনি ‘গুম’ উচ্চারণ করলেই ব্রাহ্মণ। সময় শ্রমণ হয়, ব্ৰহ্মচর্যের দ্বারা ব্রাহ্মণ।
কর্মের দ্বারাই ৰাহ্মণ ব্রাহ্মণ হয়।
আর্থকের স্পষ্টোক্তিতে স্নাতক ব্রাহ্মণের উদাসীন হলে সাংখ্যমতানুযায়ী সম্যাসীরা এগিয়ে এলেন। বললেন, তােমার এবং আমাদের ধর্মে পার্থক্য খুব কমই। আমাদের দুই মতই আচার, শল