________________
১২
বর্ধমান মহাবীর | আর্য, আপনি যা বলছেন তা ঈর্ষা। বাস্তবে এর পূর্বাপর জীবনের রহস্য আপনি বুঝতেই পারেন নি। যদি পারতেন তবে একথা বলতেন না। আপনিই বলুন তঁার এই দুই জীবনের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ? যখন তিনি ছদ্মস্থ ছিলেন, সাধন নিত, তখন একান্তবাসীই নয়, মৌনতাবলম্বীও ছিলেন। তা তপস্বীর জীবনের অনুরূপই। এখন ইনি সর্বজ্ঞ ও সর্বদর্শী হয়েছেন। এর রাগবে রূপ বন্ধন সমূলে বিনষ্ট হয়েছে। এর জীবনে আত্মসাধনার স্থান তাই এখন গ্রহণ করেছে জগতের কল্যাণ; প্রাণীমাত্রের হিতকামী এই মহাপুরুষ তাই এখন জনমণ্ডলীর মধ্যে বসে উপদেশ দেন। কিন্তু তবুও তিনি একান্তবাসী। যিনি বীতরাগী তার পক্ষে সভা ও বন দুই-ই সমান। যিনি নির্মল আত্মা তাকে সভা বা সমূহ কি করে লিপ্ত করবে। তিনি জগৎ কল্যাণের জন্য যে উপদেশ দেন তাও তার বন্ধের কারণ হয় না কারণ তার কোনাে বিষয়ে আগ্রহ ও অনাগ্রহ নেই।
তাহলে বিষয় ভােগ ও ঔসঙ্গাদি করাতেও বা দোষ কী? তাও তার বন্ধু মােক্ষের কারণ হবে না।-বলে একটু হাসলেন গােশালক। বললেন, আমাদের শাস্ত্রে ত একথাই বলে যে একান্তবাসী তপৰীয় কোনাে পাপই পাপ নয়।
যারা জেনে শুনে বিষয় ভােগ ও স্ত্রসঙ্গ করে তারা কখনো সাধ হতে পারে না। তাহলে গৃহস্থদের সঙ্গে তাদের প্রভেদ কি? তারা সাধু নয় বা ভিক্ষু। তারা কখনাে মুক্ত হতে পারে না।
আর্জক, তুমি অন্য তীর্থিক সাধুদের নিন্দা করছ। তাদের ভণ্ড তপন্থী ও উদরার্থী বলে অভিহিত করছ।
। আমি কারু ব্যক্তিগতভাবে নিন্দা করতে চাই না। যা সত, সেই কথাই বলছি।
আক, তােমার ধর্মাচার্যের ভীরুতা বিষয়ে আর একটি গল্প বলি, শােন। আগে তিনি পান্থশালায় ও উদ্যানে অবস্থান করতেন। এখন আর তা করেন না। তিনি জানেন যে সেখানে অনেক জ্ঞানী,