________________
তীর্থংকর
১২৭ রাজপুত্র, রাজমহিষী, তেমনি ছিল সাধারণ মানুষ—তন্তৰায়, কুমাের, মণিক।
একদিন মুনি আর্জক চলেছেন গুণশীল চৈত্যে বর্ধমানকে বন্দনা করবার জন্য। পথে আজীবিক সম্প্রদায়ের নেতা গােশালকের সঙ্গে তাঁর দেখা হল। গােশালক তাকে ডাক দিয়ে বললেন, আর্দ্রক, তােমায় একটা কথা বলি।
আর্ভক বললেন, বলুন। আক, তােমার ধর্মাচার্য শ্রমণ বর্ধমান আগে নিঃসঙ্গ অবস্থায় ঘুরে বেড়াতেন, আর এখন অনেক সাধু সাধ্বী একত্রিত করে তাদের সম্মুখে বসে অনর্গল বকে যান।
হ্যা, তা জানি। কিন্তু আপনি কি বলতে চান ?
আমি বলতে চাই যে তােমার আচার্য ভারী অস্থিরচিত্ত। আগে তিনি একান্তে থাকতেন, একান্তে বিচরণ করতেন এবং সমস্ত রকম লােক সংঘট্ট হতে দূরে থাকতেন। আর এখন সাধু ও শ্রাবকের মণ্ডলীতে বসে মনােরঞ্জক কথা ও কাহিনী শােনান। আক, এ তাৰে কি তিনি লােকদের খুশী করে নিজের আজীবিকা নির্বাহ করছেন
। এতে যে তার পূর্ব ও বর্তমান জীবনে অসামঞ্জস্য এসে পড়েছে সেদিকেও তাঁর দৃষ্টি নেই। যদি একান্ত বাসই শ্রমণের ধর্ম হয়, তবে বলতে হয় তিনি শ্রমণ ধর্ম হতে বিমুখ হয়েছেন। আর এই জীবনই যদি শ্রমণ জীবনের আদর্শ হয় তবে তার পূর্বজীন যে ব্যর্থ গেছে সেকথা স্বীকার না করে উপায় নেই। তাই ভচ্ছ, যতদূর আমি বুঝতে পেরেছি তাতে তােমার আচার্যের জীবনচর্যাকে কোনাে রকমেই নির্দোষ বলা যায় না।
বর্ধমানের জীবন তখনই যথার্থ ছিল যখন তিনি একান্তবাসী ছিলেন ও যখন আমি তাঁর সঙ্গী ছিলাম। এখন নির্জন ৰাস হতে বিরক্ত হয়ে তিনি জীবিকার জন্য সভায় বসে উপদেশ দেবার পরে নিয়েছেন। তাই বলছিলাম যে তােমায় মাচাৰ অৰৰস্থিতচিত্ত।