________________
বর্ধমান মহাবীর
শ্রেণিক শালিভজকে দেখে ফিরে গেলেন। কিন্তু শালিভদ্রের মনে এক ভাবনা রেখে দিয়ে গেলেন। আমি আমার স্বামী নই, আমারও একজন স্বামী আছে।
শালিভদ্রের সংসার তখন অসার বলে মনে হতে লাগল। তাঁকে নিজের স্বামী হতে হবে ।
12.
শুনে ভদ্রা চোখের জলের মধ্যে দিয়ে হাসলেন। বললেন, পাগল । ভদ্রার স্বামী গোভদ্র এইভাবেই একদিন সংসার পরিত্যাগ করে গিয়েছিলেন। ভদ্রা তাই শালিভদ্রকে এতদিন আগলে রেখেছিলেন বাইরের সমস্ত সংস্রব হতে। কিন্তু শ্রেণিক একদিন এসে সব কিছু ওলটপালট করে দিয়ে গেলেন। তাঁকে আর ধরে রাখা সম্ভব হল না ।
তবু ভদ্রা শেষ চেষ্টা করতে ছাড়লেন না। বললেন, শালিভদ্র, এত দিনের সংসার কি একদিনে ছাড়া যায় ? তুমি একটু একটু করে ছাড় ।
শালিভদ্র তখন তাঁর স্ত্রীর এক একজনকে পরিত্যাগ করতে লাগলেন ।
শালিভদ্রের বোন সুন্দরী। শ্রেষ্ঠী ধন্যের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল।
সুন্দরী তখন স্বামীর পরিচর্যা করছিলেন। হঠাৎ শালিভদ্রের বৈরাগ্যের কথা মনে হওয়ায় তাঁর চোখ দিয়ে দু'ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল।
ধন্য তাই দেখে তাঁর দুঃখের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন।
সুন্দরী তখন সব কথা খুলে বললেন। শুনে ধন্য হাহা করে হেসে উঠলেন। বললেন, এমন অদ্ভুত কথা ত জীবনে কখনো শুনিনি । বৈরাগ্য যখন হয় তখন সংসার একেবারেই চলে যায় । একটু একটু করে যায় না।
সেকথা শুনে সুন্দরী ভাবলেন যে ধন্য তাঁর ভাইকে তাচ্ছিল্য করছেন। তাই বললেন, মুখে বলা সহজ, কাজে করা শক্ত। একবারে তুমি ছাড় দেখি ।